রাজারহাটে গৌতম দেব পুত্র সপ্তর্ষির আলাদা ইশতেহার, পারবেন ফেরাতে বাম ভোট?

২০০৯ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজে SFI-এর জিএস

বাবা বামফ্রন্ট আমলের প্রাক্তন হেভিওয়েট মন্ত্রী। পারিবারিক প্রভাবেই রাজনীতির ময়দানে। একুশের ভোটে রাজারহাট নিউটাউন কেন্দ্রে আলিমুদ্দিনের তরুণ ব্রিগেডের অন্যতম মুখ প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবের ছেলে সপ্তর্ষি দেব। ১৭ ই এপ্রিল পঞ্চম দফায় রাজারহাট নিউটাউনে ভোট। প্রচারের ফাঁকে কথা বললেন The Bengal Story-এর সঙ্গে।

প্রথমে কলকাতা বয়েজ স্কুল। সেখানের পড়া শেষ করে ভর্তি হন প্রেসিডেন্সি কলেজে। কলেজে SFI এর হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ।

প্রেসিডেন্সির পাট চুকিয়ে স্নাতকোত্তর পড়তে এশিয়ান স্কুল অব জার্নালিজম। সেখানে পড়তে পড়তেই চাকরি। কিন্তু টানেনি সপ্তর্ষিকে। তারপর থেকে লাল পার্টিই ধ্যানজ্ঞান। আপাতত একুশের ভোটের ময়দানে।

খানিকটা সিপিএমের সুসময় বেশিরভাগ দুঃসময় খুব কাছ থেকে দেখেছেন। ২০১৯ এ ভোটের ফল দেখে হতাশ হয়েছিলেন। দেখুন সারাজীবন কেউ সরকারে থাকে না, গণতন্ত্রের নিয়মই তো পরিবর্তন। মৃদু হেসে সিপিএম প্রার্থীর মন্তব্য, প্রকৃত বামপন্থীরা হতাশ হন না।

দলের তরফে প্রকাশিত ইশতেহার পাশাপাশি সপ্তর্ষি নিজের কেন্দ্র রাজারহাট-নিউটাউন নিয়ে আগামী পাঁচ বছরে তাঁর পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন পৃথক ইশতেহার আকারে। অভিনব প্রতিশ্রুতি পত্রের নাম সপ্তর্ষির সাতকাহন। সু-দিশা, সুস্বাস্থ, সুশিক্ষা, সুনিবিড় কৃষির মত সাতটি বিষয় তুলে ধরে ক্ষমতায় এলে আগামী পাঁচ বছরে কী করতে চান তার একটি বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

[আরও পড়ুন- মনোরঞ্জন ব্যাপারীর হয়ে প্রচারে মমতা, তারিফ সাহিত্যিকের রিকশা প্রীতির, জানালেন নিজেও পারেন চালাতে]

প্রার্থী হিসেবে নাম প্রকাশের পরেই ভোট প্রচারের কাজে চষে বেড়াচ্ছেন গোটা রাজারহাট নিউটাউন কেন্দ্র। রণকৌশল নিয়ে বললেন, দেখুন মানুষের দরজায় দরজায় গিয়ে সমর্থন চাওয়ার বিকল্প কিছু নেই। তৃণমূল বিজেপিকে একযোগে বিঁধে গৌতম দেবের ছেলের টিপ্পনি, ওদের মত আমাদের অত টাকা নেই যে গাড়ি করে ঘুরব, বিরাট বিরাট রোড-শো করবো। পঞ্চায়েত ভোটে, পৌরসভা ভোটে প্রার্থীরা যেভাবে প্রচার করেন আমিও সে ভাবেই করছি।

রাজ্য রাজনীতির অন্যতম হেভিওয়েট রাজনীতিক গৌতম দেব, তাঁর ছেলে আপনি, প্রচারের ক্ষেত্রে এই পরিচয়টা কি আপনাকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে? নাকি বাবার নামের একটা চাপ অনুভব করছেন? দেখুন আমি বিষয়টাকেই গুরুত্ব দিচ্ছি না। তবে বাবার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের একটা প্রভাব তো স্থানীয় মানুষের মধ্যে রয়েছে। সেটাকে এড়িয়ে চলা মুশকিল।

অবসর সময় ভালোবাসেন বই পড়তে, গান শুনতে। এখনও নিয়মিত ক্রিকেটটা খেলেন।
প্রাথমিক লক্ষ্য কর্মসংস্থান এবং বাংলার সাম্প্ৰদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা। এই দাবিকে নিয়েই মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাচ্ছেন সিপিএম প্রার্থী।

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সপ্তর্ষি বলেন, দেখুন আমরাই তো একমাত্র দল যারা মানুষের প্রাথমিক দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলছি, আমাদের বিকল্প কে আছে বলুন তো? কিছুটা লঘু ঢঙেই প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী বললেন, দেখুন যা যা ভালো কথা তা সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীরাই বলছে, ক্ষমতায় এলে রাজ্যের জন্য যা যা ভালো হবে সেই কাজ গুলো আমরাই করবো। কোনোরকম ভবিষ্যৎ বাণী আমি করবো না, তবে সংযুক্ত মোর্চা এবারে আশাতীত ফলাফল করবে, মন্তব্য গৌতম পুত্রের।

Comments are closed.