শান্তিকুঞ্জের শেষ পদ্ম ফুটবে ২৪ মার্চ? মোদীর সভায় হাজির থাকবেন দিব্যেন্দু

পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, শুভেন্দুর পাশাপাশি অধিকারী পরিবারের রাজনৈতিক জীবনের সবথেকে বড় লড়াই ২০২১ এর নির্বাচন

কাঁথির শান্তিকুঞ্জের অবশিষ্ট ঘাসফুলটি কি অবশেষে পদ্মে? ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তার কয়েক দিন পরেই দাদার হাত ধরে বিজেপিতে ভাই সৌমেন্দু। দীর্ঘদিন জল মাপার পর গত ২১ মার্চ, রবিবার অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দেন শান্তিকুঞ্জের কর্তা তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। 

কাঁথিতে ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত থাকার কথা তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দুর। এই বিষয়ে দিব্যেন্দু সংবাদ মাধ্যমকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর সভায় আমন্ত্রণ পেয়েছি, যাওয়ার সম্ভবনা আছে। 

শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পরেই অধিকারী পরিবারের বাকি সদস্যদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কার্যত ঠিক হয়ে গিয়েছিল। ডিসেম্বরের পর থেকে তৃণমূলের কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অধিকারী পরিবারের কাউকে দেখা যায়নি। গুঞ্জন থাকলেও, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ডিসেম্বরে শুভেন্দুর যোগদান মঞ্চেই বাকি অধিকারীদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের চিত্রনাট্য লেখা হয়ে গিয়েছিল।  

[আরও পড়ুন- PK: নির্বিকল্প মমতা, জোর দিয়ে বলছি বাংলায় BJP-র আশা নেই, লড়াইয়ে নেই বাম-কংগ্রেস]

কয়েকদিন আগে হলদিয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী উপস্থিত ছিলেন। সেই অনুষ্ঠানেই শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরী হলেও, তাঁরা তা করেননি। শিবির বদল করতে আর একটু ধীরে চলো নীতি নিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের চেয়ারম্যান শিশির। 

একুশের হাইভোল্টেজ নির্বাচনের এপিসেন্টার পূর্ব মেদিনীপুর তথা নন্দীগ্রাম। জমি আন্দোলনে মমতার ডান হাত এখন নন্দীগ্রামে দলনেত্রীর বিপরীতে বিজেপি প্রার্থী। অধিকারীদের হাত থেকে মেদিনীপুর পুনরুদ্ধার করতে মরিয়া তৃণমূলও। হোম গ্রাউন্ড ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, শুভেন্দুর পাশাপাশি অধিকারী পরিবারের রাজনৈতিক জীবনের সবথেকে বড় লড়াই ২০২১ এর নির্বাচন।

ছেলের হাত শক্ত করতে ইতিমধ্যেই পরিবারের কর্তা শিশির নেমে পড়েছেন গেরুয়া পতাকা হাতে। এবার কি তাহলে শান্তিকুঞ্জের বাসিন্দা দিব্যেন্দুর পালা? জল্পনা তুঙ্গে।

Comments are closed.