ভারভারা রাওসহ ধৃত মানবাধিকার কর্মীদের স্বস্তি দিয়ে তাঁদের গৃহবন্দি থাকার সময়সীমা বাড়ালো সুপ্রিম কোর্ট

এখনই জেলে যেতে হচ্ছে না ভারভারা রাওসহ ভিমা কোড়েগাঁও কাণ্ডে মাওবাদী সংযোগের অভিযোগে পুণে পুলিশের হাতে ধৃত ভারভারা রাওসহ পাঁচ বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মীকে। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের গৃহবন্দি থাকার সময়সীমা ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। এই নিয়ে দু’দফায় তাঁদের গৃহবন্দির থাকার মেয়াদ বাড়ালো দেশের শীর্ষ আদালত। এর আগে প্রথমে ৬ সেপ্টেম্বর ও দ্বিতীয় দফায় ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধৃত সমাজকর্মীদের গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তাঁদের এই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন ঐতিহাসিক রোমিলো থাপারসহ বেশ কয়েকজন।
মাওবাদীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে সপ্তাহ দু’য়েক আগে একই সঙ্গে দিল্লি, মুম্বই, রাঁচি, গোয়া, ফারিদাবাদ, হায়দরাবাদের মতো দেশের একাধিক শহরে ১০ জন বিশিষ্ট সমাজকর্মীর বাড়িতে অভিযান চালায় পুণে পুলিশ। যা নিয়ে সেই সময় তীব্র বিতর্ক হয় দেশজুড়ে। গত বছরের ৩১ শে ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোড়েগাঁওয়ের দলিত ও উচ্চ বর্ণের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মাওবাদীদের সঙ্গে যোগ আছে বলে গ্রেফতার করা হয় ভারভারা রাও, অরুণ ফেরেরা, গৌতম নওলাখা, সুধা ভরদ্বাজ, ভার্ণন গঞ্জালভেসের মতো কবি, লেখক, আইনজীবীদের। তাঁদের আরবান নকশাল তকমা দিয়ে পুলিশ দাবি করে, ধৃতদের সঙ্গে মাওবাদীদের সম্পর্ক থাকার বিষয়ে সম্পূর্ণ রূপে নিশ্চিত হয়ে তবেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বিষয় প্রমাণের জন্য তাঁদের কাছে হাজার হাজার নথি ও চিঠি রয়েছে বলেও দাবি ছিল পুলিশের। পুলিশের দাবি, এই বৃহত্তর চক্রান্তের অংশ হিসেবে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদেরও সংগঠিত করার চেষ্টা চলছিল, যাতে নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়া যায়। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খুনের চক্রান্তও ধৃতরা মানবাধিকার কর্মীরা মাওবাদীদের সঙ্গে মিলে করছিলেন বলে দাবি করে পুণে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এর আগে সুরেন্দ্র গ্যাডলিং, রোনা উইলসন, সুধীর ধাওয়ালে, সোমা সেন ও মহেশ রাওয়াত নামে আরও পাঁচ মানবাধিকার কর্মীকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁরা বর্তমানে জেলে রয়েছেন।

Comments are closed.