হাজার হাজার সমীক্ষা রিপোর্টে ছয়লাপ টাইম লাইন! একুশের ভোটে মিলবে কার সমীক্ষা?

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ দাবি করেন, ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপির জয়ের নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল নেট মাধ্যমের

এ যেন হাজার হাজার ডাক্তার হাজরা! ভোটের বাজারে বাংলার সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে গিয়েছে হাজারো সমীক্ষা রিপোর্টে। কোথাও দেখা যাচ্ছে, বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। আবার কোথাও দেখা যাচ্ছে বাংলায় ক্ষমতা ধরে রাখছেন মমতাই। সংযুক্ত মোর্চার জয়ের বিভিন্ন রিপোর্ট কার্ডও নজর এড়ায় না। কিন্তু প্রশ্ন হল, কোন সমীক্ষা সত্যি আর কোনটা যে মিথ্যে, তা ধরার কোনও উপায় নেই। স্বভাবতই টাইম লাইন ভরে উঠছে নিত্যনতুন সার্ভে রিপোর্টে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ দাবি করেন, ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপির জয়ের নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল নেট মাধ্যমের।
এক লহমায় বহু মানুষের কাছে খুব সহজে কোনও বার্তা পৌঁছে দেওয়া ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার বিকিল্প নেই। নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে তো প্রচারের মাধ্যম হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে নেট মাধ্যম অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। শুরু বিজেপি থেকে হলেও প্রতিটি দলেরই এখন সোশ্যাল মিডিয়া টিম রয়েছে। জরুরি নিউজের পাশাপাশি ফেক নিউজও ছড়িয়ে পড়ছে। তবে ভোটের মুখে নেট মাধ্যমে সব থেকে চর্চিত বিষয় বিভিন্ন দলের আগাম সার্ভে রিপোর্ট!
চায়ের দোকান থেকে ঘরোয়া আড্ডা সব জায়গাতেই এখন একটিই চর্চার বিষয়, বাংলার মসনদে কে? আর এই চর্চার মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে হাজারো সার্ভে রিপোর্ট।
প্রায় প্রতিটি দলই নিজেরা সার্ভে করছে এবং তার ফলাফল নেটমাধ্যমে শেয়ার করছে। কোথাও দেখা যাচ্ছে, সার্ভেতে তৃণমূল এগিয়ে, কোথাও বিজেপি।

[আরও পড়ুন- যুবরা রাজনীতিতে এলে এগোবে দেশ, নন্দকুমারের তরুণ BJP প্রার্থী নীলাঞ্জন চান নিজের কেন্দ্রে অভিনব ব্লাড ব্যাঙ্ক]

সম্প্রতি সংযুক্ত মোর্চার তরফেও কিছু সার্ভে রিপোর্ট শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে বাংলায় সরকার গড়ছে সংযুক্ত মোর্চা।
কিন্তু প্রশ্ন হল, ভোটের বাজারে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া গুচ্ছ গুচ্ছ সার্ভে রিপোর্টের সত্যতা কতটা তা নিয়েই। বাংলা তথা দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম নিজেরা পেশাদার সংস্থা নিয়োগ করে সমীক্ষা করিয়েছে। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট যেমন ঘুরছে ঠিক তেমনই বিভিন্ন নাম না জানা সংস্থার রিপোর্টেও ছেয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়া।
শুধু রাজ্যের সামগ্রিক ফল নয় একাধিক এমন পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে চোখে পড়বে যেখানে কেন্দ্র ধরে ধরে সমীক্ষা চালান হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
পাশাপাশি একুশের ভোটের সবথেকে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম যার ফলাফলের দিকে রাজ্য তথা গোটা দেশ। এই নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের সম্ভাব্য ফল নিয়েও চলছে সমীক্ষা রিপোর্ট পোস্ট। সোমবার নন্দীগ্রামের সভা থেকে এমনই একটি ভুয়ো সমীক্ষা রিপোর্টের কথা তুলে ধরেন মমতা ব্যানার্জি।
সবমিলিয়ে হাজার হাজার সমীক্ষা রিপোর্টে ছয়লাপ ৮ থেকে ৮০ এর টাইম লাইন। কোন রিপোর্ট যে সত্যি তা জানতে এখন অপেক্ষা ২ মের।

Comments are closed.