বাংলা সহ দেশে করোনা প্রকোপ চলবে ২১ মে পর্যন্ত, ১১ রাজ্যে সংক্রমণ কমবে ৭ মে’র পর! মুম্বই স্কুল অফ ইকনমিকস অ্যান্ড পাবলিক পলিসির গবেষণাপত্র প্রকাশ

মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের মতো জনবহুল রাজ্য বাদে বাকি দেশে ৭ মের পর নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছে মুম্বই স্কুল অফ ইকনমিকস অ্যান্ড পাবলিক পলিসির (MSEPP) এক গবেষণাপত্র। ওই গবেষণাপত্রের দুই লেখক অর্থনীতিবিদ নীরজ হাতেকর ও পল্লবী বেলহেকরের মতে, এই সংক্রমণের বৃদ্ধি-কমা নির্ভর করছে ‘অ্যান্টি-ইনফেকশন’ কার্বস বা লকডাউন বিধি মানার উপর।
‘দ্য এন্ড ইজ নিয়ার: করোনা স্টেবিলাইজিং ইন মোস্ট ইন্ডিয়ান স্টেটস’ শীর্ষক রিপোর্টে এই দুই অর্থনীতিবিদ বলছেন, আগামী ৭ মের পর দেশের ১১ টির বেশি রাজ্য থেকে নতুন করে করোনা আক্রান্তের রিপোর্ট মেলার সম্ভাবনা কম। সারা দেশে ওই সময়সীমা ২১ মে। রিপোর্ট বলছে, ২১ মে তারিখ থেকে নতুন করে করোনা সংক্রমণ ছড়ানো থেকে মুক্তি পেতে পারে ভারত।
এই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,

 

বাংলা
পশ্চিমবঙ্গে ২১ মে তারিখে সর্বমোট ২ হাজার ১৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হবেন বলে জানানো হয়েছে এই গবেষণাপত্রে। বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ওই দিন পর্যন্ত সংক্রমণ থাকবে। তারপর তা কমার সম্ভাবনা।

 

মহারাষ্ট্র
আগামী ২১ মের পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ২৪ হাজার ২২২। তারপর নতুন করে আক্রান্তের রিপোর্ট পাওয়ার সম্ভাবনা কম। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৯১৫।

 

গুজরাত
একইভাবে এখন ৪ হাজার ৮২ টি কোভিড ১৯ পজিটিভ কেস থাকা গুজরাতে, ৭ মে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ৪ হাজার ৮৩৩।

যদিও এই গবেষণাপত্রে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকরা যদি বড় সংখ্যায় যাতায়াত শুরু করেন তাহলে লকডাউন করে যে সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখা গিয়েছিল, তার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। নতুন করে করোনা পরিস্থিতি জটিল হতে পারে। তাই হটস্পটগুলিতে নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন দুই অর্থনীতিবিদ।
সব কিছু ঠিকভাবে চললে, ২১ মে এর পর দেশজুড়ে নতুন করে সংক্রমণের খবর নাও আসতে পারে বলে জানিয়েছেন নীরজ হাতেকর ও পল্লবী বেলহেকর।
কিন্তু পর্যাপ্ত সুরক্ষার বন্দ্যোবস্ত না করে পরিযায়ী শ্রমিকদের যদি তাড়াহুড়ো করে বাড়ি ফেরানোর প্রয়াস নেওয়া হয়, গ্রামাঞ্চলে দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউ উঠতে পারে বলে সাবধান করা হয়েছে এই রিপোর্টে।
চিন, অস্ট্রেলিয়ার মতো যেসব দেশে প্রথমদিকে করোনার প্রকোপ শুরু হয়, তাদের ইনফেকশন প্যাটার্ন বা সংক্রমণের প্রকৃতি বিশ্লেষণের সঙ্গে ভারতের পরিস্থিতির তুলনামূলক বিচার করে এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন দুই অর্থনীতিবিদ।

Comments are closed.