বনধ, করোনার জোড়া ফাঁস এড়িয়ে ১১ মাস পর খুলল স্কুল, মানতে হবে স্বাস্থ্য বিধি

দীর্ঘ ১১ মাস পর স্কুলের পথে পড়ুয়ারা। আর স্কুল খোলার প্রথম দিন বামেদের ডাকা ১২ ঘন্টার ধর্মঘট। সমস্যার মুখে পড়ুয়ারা। শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা মত কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শুক্রবার থেকে থেকেই রাজ্যজুড়ে সরকারি-বেসরকারি স্কুল চালু হয়। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হবে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। করোনার সংক্রমণ এড়াতে প্রতিটি স্কুলেই পর্যাপ্ত সুরক্ষা-ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

দীর্ঘ কয়েকমাস পর স্কুল খোলায় পড়ুয়ারা খুশি হলেও অভিভাবকদের মনে একটা দুশ্চিন্তা ছিল। বেশি ছাত্রছাত্রী ক্লাসে থাকলে কী ভাবে দূরত্ব বজায় থাকবে? মাস্ক পড়ে শিক্ষকরা ক্লাস করালে পড়ুয়ারা শুনতে পাবে কি? একসঙ্গে টিফিন খাওয়া থেকে শুরু করে প্রার্থনায় লাইনে দাঁড়ানো সহ একাধিক দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছিল অবিভাকদের।

[আরও পড়ুন- কোথাও রেল অবরোধ, কোথাও রাস্তা জুড়ে ফুটবল, বামেদের বনধে আংশিক সাড়া, দেখুন ফটো গ্যালারি]

সেই কারনে সংক্রমণ রুখতে একগুচ্ছ নিয়ম জারি করে স্কুল শিক্ষা দফতর। নির্দেশিকায় বলা হয়, স্কুলে পড়ুয়াদের দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের মাস্ক পরে স্কুলে আসতে হবে। প্রত্যেকের কাছে স্যানিটাইজার রাখতে হবে। স্কুল চত্বরের কোথাও কোনও জমায়েত করা চলবে না। এছাড়াও প্রতিটি স্কুলে একটি পৃথক আইসোলেশন রুম রাখার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। কোনও পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে বা করোনা সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশন রুমে রাখা হবে। কিন্তু এরই মধ্যে বামেদের ডাকা ১২ ঘন্টার বনধ ঘিরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে পড়ুয়া ও অভিভাবকরা। সকাল থেকে দফায় দফায় রেল ও রাস্তা অবরোধের জেরে অনেকেই আটকে পড়ে। অনেকেই বাড়ি থেকে বেরিয়েও ফের ঘরমুখী হয়।

এই অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি একটি ট্যুইট করেন। সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। পড়ুয়াদের সুবিধার্থে সরকার প্রস্তুত বলে জানান তিনি।

রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় স্কুল খোলায় সম্মতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এখনও কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

Comments are closed.