বুলন্দশহরে পুলিশ অফিসারকে খুন করেছে সেনা জওয়ান? চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রাথমিক তদন্তে

বুলন্দশহরে পুলিশ অফিসার সুবোধ কুমার সিংহ হত্যা রহস্যে পাওয়া গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ ইন্সপেক্টর খুনে যুক্ত হল আরও এক সন্দেহভাজনের নাম। জিতু ফৌজি নামে শ্রীনগরে কর্মরত এক সেনা জওয়ানের নাম উঠে এল উত্তর প্রদেশ পুলিশের সন্দেহের তালিকায়। সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিংহকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল ওই সেনা জওয়ান।
সোমবার গরুর মাংস উদ্ধার হয়েছে এই খবরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক হাঙ্গামা শুরু হয় উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহরে। পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ চালায় প্রচুর লোক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। মৃত্যু হয় পুলিশ ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিংহের। পরে জানা যায়, গুলিবিদ্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে সুবোধের। পুলিশ অফিসার খুনে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে আসে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের সদস্য যোগেশ রাজের নাম।
এদিকে এই খুনের দিনের একাধিক ভিডিও আসে তদন্তকারীদের হাতে। এই একাধিক ভিডিও ফুটেজে জিতু ফৌজি নামে এক জওয়ানকে চিহ্নিত করেছে বলে সূত্রের খবর। ওই জওয়ানের খোঁজে ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তাঁর বুলন্দশহরের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল পুলিশ। ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিংহকে তাড়া করছে একদল উত্তেজিত জনতা। প্রথমে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় এবং পরে গুলি করা হয়। সম্ভবত, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কেউ ভিডিও করছিল ওই সময়। সেই ভিডিওতে জিতু ফৌজিকে সামনে থেকে দেখা যায়।
সূত্রের খবর, ঘটনার দিন জিতু ফৌজি বুলন্দশহরে নিজের গ্রামে ছিল। ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে কয়েক দিন আগে সে কাশ্মীর থেকে বাড়িতে এসেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একাধিক ভিডিওতে বিক্ষোভের পুরোভাগে দেখা গিয়েছে ওই জওয়ানকে। ঠিক ওইদিন সন্ধে নাগাদ জিতু জম্মু-কাশ্মীরে নিজের কর্মস্থলে ফিরে যায়। এসব থেকেই সন্দেহ বাড়ে পুলিশের।
অন্যদিকে, জিতু ফৌজির মায়ের অভিযোগ, তাঁর ছেলের খোঁজে বাড়িতে তল্লাশির নামে ভাঙচুর চালিয়েছে পুলিশ। তাঁর দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নয় তাঁর ছেলে। জিতু কার্গিলে নিজের কর্মস্থলে রয়েছেন। যদিও, পুলিশ জানিয়েছে, তারা একরকম নিশ্চিত, ইন্সপেক্টরকে গুলি চালায় ওই জওয়ান। পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর এবং পুলিশ অফিসারকে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও অন্যতম অভিযুক্ত বজরং দলের নেতা এখনও অধরা।

Comments are closed.