সবার সামনে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে স্ত্রীকে চুম্বন করলেন চাঙ্কি পান্ডে! লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে ষ্টার কিড অনন্যা পান্ডের

বর্তমানে বলিউডে অনন্যা পান্ডে বেশ কয়েকটি কাজ করেছেন। তারমধ্যে লাইগার একটি বড় ফিল্ম। কারণ সেখানে অভিনেত্রী অনন্যার বিপরীতে দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল সাউথ ইন্ডিয়ান অভিনেতা বিজয় দেবারকোণ্ডাকে। যদিও বক্স অফিসে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ে সিনেমাটি। তাতে অনন্যাকে বেশ ভালই কথা শুনতে হচ্ছে। আর এসবের মধ্যেই তাঁর বাবা মা চাঙ্কি পান্ডে ও ভাবনা পান্ডে এমন কাজ করলেন যাতে লজ্জায় অনন্যার মাথা আরও নিচু হয়ে যাচ্ছে। লজ্জা শরম সব ভুলেই মেয়ের সামনে এমনকি ক্যামেরার সামনেও সীমা অতিক্রম করেন চাঙ্কি।

সম্প্রতি ‘দ্য ফ্যাবুলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইভস’ শো তে দেখা গেছিল পান্ডে পরিবারকে। সেই শোতেই সম্প্রতি দেখানো হয়েছে যে বিয়ের ২৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ পার্টির আয়োজন করেছেন চাঙ্কি এবং ভাবনা। বিয়ের এত বছর পরে বিবাহ বার্ষিকীর দিনে সন্তানদের সামনেই দ্বিতীয়বার বিয়ের সমস্ত রীতিনীতি পালন করলেন তাঁরা। কিন্তু বাবা মায়ের এমন কাণ্ডে মোটেই খুশি হননি অনন্যা। অভিনেত্রী হাপ – ভাব থেকে স্পষ্ট ছিল যে তিনি বিষয়টি মোটেই পছন্দ করছেন না।

কিন্তু তাঁর এই আপত্তিকে বিশেষ পাত্তা দেয়নি বাবা চাঙ্কি পান্ডে। আর হঠাৎ এই অভিনেতা বলে ওঠেন আমার সন্তানদের অনুমতি থাকলে মিস্ত্রিকে চুম্বন করতে চাই। বাবার কথা শুনে মেয়ের মুখ লজ্জায় লাল হয়ে ওঠে। আর অনন্যা বলেন, স্ত্রীকেই জিজ্ঞাসা করুন। এরপর আর স্ত্রীর অনুমতির প্রত্যাশা না করে সাথে সাথেই চুম্বন করেন ভাবনাকে। উপস্থিত সকল অতিথি করে উঠলেও লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে যায় অনন্যর।

প্রসঙ্গত পরে শোতেই তাঁকে প্রিয় বান্ধবী শানায়া কাপুরের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। সেখানে শানায়ার মা মাহিপ কাপুরও শোতে উপস্থিত ছিলেন। সেই শোতে অনন্যাকে বলতে শোনা যায় যে, চুম্বনের ব্যাপারটা সত্যিই অত্যন্ত বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছিল। অনন্যা ভেবেছিলেন ছোট করেই হয়তো হবে কিন্তু এতটাই বাড়াবাড়ি হয় যে অনন্যা মাথা নিচু করে ফেলেন। অন্যদিকে শানায়া হেসে বলে ওঠেন, দেখে মনে হচ্ছিল চাঙ্কি ছাড়তেই চাইছেন না ভাবনাকে। উত্তরে অনন্যা শানায়াকে জিজ্ঞাসা করেন যে তার বাবা মা যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি করেন সকলের সামনে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন আবার চুম্বনও করেন তাহলে তিনি কি ব্যাপারটি মানতে পারবেন? শানায়াও জানিয়ে দেন যে না তিনিও মানতে পারবেন না।

Comments are closed.