অগাস্টে হাওড়ার মেয়রকে ধমকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী! ফেরেনি হাল, পুর পরিষেবার বেহাল ছবি ‘দিদিকে বলো’ পেজে পোস্ট এক বাসিন্দার

গত ১৯ শে অগাস্ট হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা হাওড়া জেলার তৃণমূল সভাপতি অরূপ রায় এবং হাওড়া পুরসভার মেয়র রথীন চক্রবর্তী। হাওড়ার বস্তির পরিস্থিতি, জল নিকাশি ব্যবস্থা, রাস্তা, স্বাস্থ্য থেকে রেশন কার্ড, নানা ইস্যুতে দলীয় নেতা, মন্ত্রী ও কাউন্সিলারদের নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতেও যে অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন ঘটেনি, সেই ছবিই উঠে এল ‘দিদিকে বলো’র ফেসবুক পেজে। ‘দিদিকে বলো’র ফেসবুক পেজে হাওড়ার এক বাসিন্দা তুলে ধরলেন প্রচণ্ড নোংরা রাস্তার একটি ছবি। সেই নোংরার পাশেই আবার পানীয় জলের কলও রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ‘দিদিকে বলো’ ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে জমি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য রাজ্যের যে কোনও বাসিন্দাকে ৯১৩৭০৯১৩৭০ নম্বরে ফোন করতে আহ্বান জানানো হয়। মুহূর্তের মধ্যে পোস্টটির কমেন্ট বক্সে নিজেদের সমস্যা লিখে ফেলেন প্রচুর মানুষ। এর মধ্যে হাওড়ার বাসিন্দা জনৈক তন্দ্রিমা দাস একটি কমেন্ট করেন। একটি ভিডিওর স্ক্রিনশট দিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, হাওড়া পুরসভা এলাকার রাস্তায় নোংরার পাহাড় জমেছে। কমেন্ট বক্সে তিনি লেখেন, ‘দিদি আপনাকে অনুরোধ করছি হাওড়া মিউনিসিপাল কর্পোরেশন এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখুন…।’ হাওড়া পুরসভাকে নিশানা করে তিনি আরও লেখেন, ‘কেউ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
যে ভিডিও থেকে তন্দ্রিমাদেবী এই স্ক্রিন শট নিয়েছেন, নিজস্ব ফেসবুক ওয়ালেও সেই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন তিনি। গত ২৩ শে অক্টোবর ফেসবুকে শেয়ার করা সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে বাড়ির পাঁচিল ঘেঁষে রাস্তার উপর নোংরা জমেছে। আবার সেই নোংরার পাশেই দেখা যাচ্ছে একটি নলকূপ। পুরো ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ‘দিদিকে বলো’র ফেসবুক পেজে তুলে ধরেছেন তন্দ্রিমা দাস।
গত ১৯ শে অগাস্ট হাওড়ার ওলাবিবিতলার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মমতা প্রশ্ন করেছিলেন, কেন নিজেদের ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন না কাউন্সিলাররা। দলীয় নেতা, মন্ত্রী, কাউন্সিলারদের প্রশ্ন করেছিলেন, কেন সব কিছুই তাঁকে দেখতে হচ্ছে? মুখ্যমন্ত্রীর সেই বৈঠকের প্রায় দু’মাস পরেও যেভাবে হাওড়ার এক রাস্তায় নোংরার পাহাড় দেখা যাচ্ছে, তাতে হাওড়া পুরসভার দিকেই আঙুল উঠছে।

Comments are closed.