রেপো রেট কমাল আরবিআই, কমতে পারে হোম লোন সহ সমস্ত ঋণে সুদের হার, খরচ মকুব এনইএফটি, আরটিজিএসে

ফের রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। বৃহস্পতিবার আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ঘোষণা করেন, রেপো রেট ০.২৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। অর্থাৎ, ৬ শতাংশ থেকে কমে এখন রেপো রেট হল ৫.৭৫। এর জেরে কমবে গৃহ ঋণে সুদের হার। কমতে পারে বাকি সমস্ত ঋণের সুদও।
ক্ষমতায় ফিরেই অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে দ্বিতীয় মোদী সরকার। আর্থিক বৃদ্ধির হার কমেছে, বেহাল কর্মসংস্থান, ধুঁকছে কৃষি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের কমিটি রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এর ফলে সুদের হার কমাবে ব্যাঙ্কগুলো। যা থেকে সরাসরি উপকৃত হবেন হোম লোন, কার লোন কিংবা অন্য যেকোনও ধরনের ঋণগ্রহীতারা। যে হারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে ঋণ দেয় তা হল রেপো রেট। পাশাপাশি এখন থেকে নিখরচায় করা যাবে আরটিজিএস এবং এনইএফটি। নতুন রিভার্স রেপো রেট হয়েছে ৫.৫০ শতাংশ এবং ব্যাঙ্ক রেট ৬ শতাংশ করা হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতেই ০.২৫ শতাংশ রেপো রেট কমিয়েছিল আরবিআই। তার আগে চলতি বছরের এপ্রিল মাসেও এক দফা রেপো রেট কমানো হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, রেপো রেট কমানোর ফলেই ব্যাঙ্কগুলো সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেবে কিনা তা নিয়ে। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, রেপো রেট কমানো হলেও ব্যাঙ্কগুলো সুদের হার কমাবেই, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। পাশাপাশি রেপো রেট কমলে সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত অর্থেও সুদ কমবে। স্বভাবতই ব্যাঙ্কের আমানত সংগ্রহের উপরও এর প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি সম্প্রতি দেখা গিয়েছে দেশের জিডিপিও নিম্নমুখী। কর্মসংস্থানের হাল বেহাল। ফলে রেপো রেট কমিয়ে দিলেই যে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে এবং বাজারে চাহিদা অনুযায়ী যোগানের সরলরৈখিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এই প্রেক্ষিতেই অর্থনীতিবিদদের প্রশ্ন, রেপো রেট কমিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইতিবাচক বার্তা দিল ঠিকই, তবে বাজারের অবস্থা কি সেই বার্তাকে সমর্থন করার জায়গায় আছে?

Comments are closed.