উত্তরাখণ্ডে সংস্কৃত বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলে

নতুন প্রজন্মকে সংস্কৃত জানতে হবে, সেই কারণে উত্তরাখণ্ডের সমস্ত স্কুলে সংস্কৃত ভাষা বাধ্যতামূলক করার নির্দেশিকা দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার।
মাস কয়েক আগেই মোদী সরকারের নয়া শিক্ষানীতিতে দেশজুড়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি ভাষা বাধ্যতামূলক করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। যা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল। এবার বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডের সমস্ত স্কুলে তৃতীয় শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সংস্কৃত ভাষা বাধ্যতামূলক করার কথা ঘোষণা করা হল। উত্তরাখণ্ডের শিক্ষামন্ত্রী অরবিন্দ পাণ্ডের কথায়, সংস্কৃত ভাষা হল দেশের অন্যতম প্রাচীন ভাষা এবং দেবভাষা। আমাদের স্বীকার করতেই হবে সভ্যতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে সংস্কৃতের। তাই বর্তমান প্রজন্মেরও এই ভাষা জানা জরুরি বলে মন্তব্য করেন উত্তরাখণ্ডের শিক্ষামন্ত্রী।
রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত স্কুলেই সংস্কৃত ভাষা বাধ্যতামূলক করার নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে। উত্তরাখণ্ডের শিক্ষা দফতরকেও এই বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আইসিএসই বোর্ড থেকে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বোর্ডেই সংস্কৃত ভাষা বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে শীঘ্রই নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে বলে জানান উত্তরাখণ্ডের শিক্ষা সচিব আর মীণাক্ষি সুন্দরম।
বর্তমান হিন্দি, কুমায়ুনি, গড়োয়ালি এবং জৌনসারি, এই চারটি ভাষা উত্তরাখণ্ডের প্রধান ভাষা। এছাড়াও উর্দু,পঞ্জাবি, বাংলা, নেপালি, থারু, দারমিয়া ইত্যাদি ভাষার প্রচলন রয়েছে। মজার ব্যাপার, উত্তরাখণ্ডের প্রধান দুটি আঞ্চলিক ভাষা, কুমায়ুনি ও গড়োয়ালিকে বিপন্ন ভাষা বলে চিহ্নিত করেছে ইউনেস্কো।
এই প্রেক্ষিতে উত্তরাখণ্ডের বিখ্যাত ইতিহাসবিদ শেখর পাঠকের খেদ, সরকারি ভাষার পাশাপাশি যদি আঞ্চলিক ভাষাগুলিকেও রক্ষা করার ব্যাপারে সমান উদ্যোগী হত রাজ্য সরকার!
উত্তরাখণ্ড সরকারের এই নির্দেশিকার প্রেক্ষিতে দেহরাদুনের এক বিখ্যাত স্কুল কর্তৃপক্ষের কথায়, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ করতেই হবে। কিন্তু এই একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরও গভীর ভাবনা-চিন্তা জরুরি ছিল বলে মন্তব্য করেন তাঁরা।

Comments are closed.