লন্ডনে দাঁড়িয়ে বোমা ফাটালেন দেশ থেকে পলাতক শিল্পপতি বিজয় মালিয়া। বুধবার লন্ডনের এক আদালতে একটি মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজয় মালিয়া জানান, দেশ ছড়ার আগে তিনি দেখা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে। জানিয়েছেন, সেই সময় ভিয়েনায় একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে তিনি যে লন্ডন যাচ্ছেন সেটাও অর্থমন্ত্রীকে বলেছিলেন তিনি। দিয়েছিলেন মিটমাটের প্রস্তাবও। প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতি ও ঋণ নিয়ে শোধ না করার অর্থ তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত বিজয় মালিয়ার এই বয়ান সামনে আসার পরই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। রে রে করে উঠেছে বিরোধীরা। ঘটনায় বেশ চাপে পড়ে গেছে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকার। পরিস্থিতি সামাল দিতে ও আত্মপক্ষ সমর্থনে বিবৃতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। বিজয় মালিয়ার দাবিকে ভিত্তিহীন বলে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের পর তাঁর সাথে বিজয় মালিয়ার কোনও সাক্ষাৎই হয়নি। কোনও অ্যাপয়েন্টমেন্টও তিনি দেননি। জেটলি জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে বিজয় মাল্য যখন রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন, তখন সংসদ চত্বরে তাঁর সাথে দেখা হয়েছিল পলাতক এই শিল্পপতির। সেই সময় বিজয় মালিয়া তাঁকে মিটমাটের কিছু কথা বলতে চায়েছিলেন। কিন্তু জেটলির দাবি, তখন তিনি মালিয়াকে থামিয়ে বলেছিলেন, এবিষয়ে তাঁর কিছু করার নেই, যা বলার ব্যাঙ্কে বলুন।
জেটলির এই মন্তব্যের পরে অবশ্য নিজের বয়ান বদলে বিজয় মাল্য দাবি করেছেন, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করছে সংবাদমাধ্যম। তবে বিষয়টি নিয়ে আসরে নেমেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে। জেটলিকে বরখাস্তের দাবিও করা হয়েছে। আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, নীরব মোদী দেশ ছাড়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, বিজয় মালিয়া পালানোর আগে জেটলির সাথে দেখা করেছেন, এসব কী হচ্ছে! বিরোধীদের দাবি, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার যে অসৎ শিল্পপতিদের সুবিধা দিচ্ছে ও তাঁদের কথাতেই চলছে, এসব তারই প্রমাণ।
Comments are closed.