শুভেন্দু মোকাবিলার ব্লুপ্রিন্ট প্রস্তুত! মমতার জেলা সফর ৭ ডিসেম্বর থেকে, প্রথমেই যাবেন শুভেন্দুর হাতে থাকা ৫ জেলায়
৪ ডিসেম্বর কর্মী সমর্থকদের ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্তা। ৭ ডিসেম্বর থেকে জেলা সফর। যার শুরুটা হবে একদা শুভেন্দু অধিকারীর হাতে থাকা ৫ জেলা দিয়ে। মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি শুভেন্দু অধিকারীর ছেড়ে যাওয়া মোকাবিলায় নীল নকশা রেডি করে ফেললেন মমতা ব্যানার্জি।
শুভেন্দু অধিকারী মমতা সরকার ছেড়েছেন শুক্রবার। মমতার দল ছাড়বেন কবে? একাই যাবেন নাকি সঙ্গে নিয়ে যাবেন আরও কাউকে?
এখনও এই প্রশ্নের উত্তর নেই। কিন্তু সমস্ত পরিকল্পনা তৈরি করে রাখতে ইস্তফার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠক ডাকেন মমতা। হাজির ছিলেন সুব্রত বক্সী, পার্থ চ্যাটার্জি, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসরা। সেখানেই পরবর্তী দিশা দেন দলনেত্রী। জানান, শুভেন্দুর ছেড়ে যাওয়া নিয়ে বৃথা বাক্যব্যয়ে সম্মতি নেই তাঁর। তিনি চান মাঠে নেমেই এর মোকাবিলা করতে।
এই কারণেই ৭ ডিসেম্বর থেকে মমতার জেলা সফরে প্রাধান্য পাবে দলে পর্যবেক্ষক পদ থাকাকালীন যে যে জেলা সামলাতেন শুভেন্দু, সেই জেলাগুলো। বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদার পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ৭ ডিসেম্বর থেকে এই জেলাগুলোতে মিটিং করবেন মমতা।
মন্ত্রিসভায় শুভেন্দু অধিকারীর ছেড়ে যাওয়া দফতরগুলো আপাতত নিজের হাতেই রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তীতে এনিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এই প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটা অংশ অন্য গন্ধ পাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী এইচআরবিসি ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে কল্যাণ ব্যানার্জিকে বসানো হয়েছিল। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদে শুভেন্দুর ছেড়ে যাওয়া পদে জেলার রাজনীতিতে শুভেন্দু বিরোধী বলে পরিচিত শিউলি সাহা আসছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এই অবস্থায় শুভেন্দুর মন্ত্রিপদ মমতার নিজের হাতে রাখা কী কোনও নির্দিষ্ট ইঙ্গিত?
সূত্রের খবর, দল এখনও আলোচনার পথ খোলা রাখছে। শুভেন্দু বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি। শেষ পর্যন্ত তিনি দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন না বলেই আশা সৌগত রায়দের মতো প্রবীণ নেতাদের।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার কালীঘাটের বৈঠকে আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল সাংগঠনিক ভাঙন রুখতে কীভাবে কাজ করবে শীর্ষ নেতৃত্ব। মমতা ব্যানার্জি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কেউ দল ছাড়তে চাইলে আপত্তি নেই। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, মানুষ মমতার সঙ্গেই আছেন।