ঘুরে আসবেন নাকি ‘পঞ্চায়েত’ খ্যাত গ্রাম থেকে? জানুন ‘ফুলেরা’র আসল নাম-ঠিকনা 

অ্যামাজন প্রাইমের ওয়েব সিরিজ পঞ্চায়েত-২ সিজিন ওয়ানের মতোই তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ওয়েব সিরিজ দেখতে ভালোবাসেন অথচ ‘পঞ্চায়েত’ দেখেননি, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া একপ্রকার মুশকিল। পঞ্চায়েত সচিব, প্রধানজি, উপ-প্রধান এবং সহায়ক বিকাশ। অসম বয়েসী এই চারজনের বন্ধুত্ব যেন নতুন করে সম্পর্কের সংজ্ঞা তৈরি করেছে। ইতিমধ্যেই নেট নাগরিকদের কাছে চার মুখ্য চরিত্র ‘ফুলেরা গ্যাং’ নাম বিখ্যাত। চার অসম বয়েসী এবং তাঁদের ঘিরে গ্রাম্য জীবনের নানান খুঁটিনাটি ঘটনা নিয়ে জমজমাট ‘পঞ্চায়েত’। 

‘পঞ্চায়েত’র গ্রাম্য সরলতা সিরিজিটিকে অন্যগুলোর থেকে আলাদা করেছে। ১০ টি এপিসোডের প্রত্যেকটি দৃশ্যই যেন দর্শকদের হাত ধরে নিয়ে গিয়েছে এক প্রান্তিক ভারতবর্ষে। ‘পঞ্চায়েত’ দেখতে দেখতে আমার-আপনার একবার অত্যন্ত মনে হয়েছে, যদি ‘ফুলেরা’ যেতে পারতাম। প্রধানজি, প্রহ্লাদ, বিকাশ অভিষেকদের সঙ্গে দু’দন্ড আড্ডা মারার সুযোগ পেতাম! দ্বিতীয় ইচ্ছেটি পূরণ না হলেও, প্রথমটি চাইলেই আপনি করতে পারেন। অর্থৎ ঘুরে আসতে পারেন ‘ফুলেরা’য়। আসুন জেনে নেওয়া যাক, ফুলেরার প্রকৃত নাম ঠিকানা।  

পঞ্চায়েত ওয়ান এবং টু, দুটি সিরিজের শুটিং হয়েছে মধ্যপ্রেদেশের এক গ্রামে। সিরিজে ফুলেরা নামে যে গ্রামটি দেখানো হয়েছে, সেটি মধ্যপ্রেদেশের সিহোর জেলার অন্তর্গত মহোদিয়া গ্রাম। সিহোর জেলা থেকে ৯ কিমি দূরে অবস্থিত এই মোহদিয়া। সিরিজে যেমনটি দেখানো হয়েছে, ঠিক তেমনই ছবির মতো সুন্দর মধ্যপ্রেদেশের এই গ্রাম। মজার বিষয় মোহদিয়া গ্রামেও গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে, যদিও সেখানকার প্রধানজী বা উপ-প্রধান আমাদের প্রধানজীর মতো কিনা, তা বলা মুশকিল। 

 

জঙ্গল, পশুপাখি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সেই সঙ্গে ইতিহাস। এই সবকিছুকে একত্রে পেতে প্রতি বছরই ভ্রমণ প্রেমীরা পাড়ি দেন মধ্যপ্রেদেশে। মধ্যপ্রদেশ গেলে আপনার বেড়ানোর তালিকায় মোহদিয়া গ্রামকে রাখতেই পারেন। সিহোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই একটি পৃথক পর্যটন দফতর খোলা হয়েছে। চাইলে তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করে পৌঁছে যেতে পারেন আপনার ‘ফুলেরা’তে। কে বলতে পারে, প্রধানজী, প্রহ্লাদ বা বিকাশের মতো কোনও গ্রামবাসীর সঙ্গে হয়তো আপনার দেখা হয়ে গেল। 

      

          

 

Comments are closed.