লকডাউন শেষ হওয়ার পরেও ৬৯% কর্মীই চান ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালিয়ে যেতে, বলছে সাম্প্রতিক সমীক্ষা

ওয়ার্ক ফ্রম হোম জারি রাখার পক্ষেই মত দেশের ১০ শহরের অধিকাংশ কর্মীর। এমনই মত উঠে এসেছে এক সাম্প্রতিক সমীক্ষায়। ইন্ডিয়া স্পেন্ডে প্রকাশিত হয়েছে সেই প্রতিবেদন। সমীক্ষা বলছে, ৬৯ শতাংশ কর্মীই ওয়ার্ক ফ্রম হোম জারি রাখার পক্ষে।
দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশে চলছে লকডাউন। বন্ধ অফিস কাছারি। যেখানে সম্ভব বাড়িতে বসেই কাজ করছেন কর্মীরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের তাঁরা ফিরবেন অফিসের চৌহদ্দিতে। কিন্তু কী বলছেন কর্মীরা? ওয়ার্ক ফ্রম হোমে সুবিধা না অসুবিধা? সম্প্রতি তা খতিয়ে দেখতেই একটি সমীক্ষা করে দিল্লির কমিউনিকেশন ইনিশিয়েটিভ ক্লাইমেট ট্রেন্ডস এবং ইংল্যান্ডের ডেটা অ্যানালিটিক্স সংস্থা YouGov। কলকাতা সহ ভারতের ১০ টি মহানগরের ওয়ার্কিং প্রোফেশনাল বা অফিস কর্মীদের উপর চালানো হয়েছে সার্ভে।
সমীক্ষায় উঠে এসেছে,
১. ৬৪% জানিয়েছেন, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ফলে তাঁরা বাড়িতে বেশি সময় কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন।
২. ৬৯% জানিয়েছেন, লকডাউন উঠে যাওয়ার পরও তাঁরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী। যখন জিজ্ঞেস করা হয়, ঠিক কতদিন তাঁরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে চাইবেন, তখন ৪৩% বলেছেন ১৫ দিন থেকে গোটা মাস। ৩৭% বলেছেন, প্রতি মাসে ১১ থেকে ১৫ দিন।
৩. যদিও এই সমীক্ষায় আলাদা করে দূষণের কথা জানতে চাওয়া হয়নি, তবুও ৬৭% আর্বান প্রোফেশনাল বলছেন বাড়িতে বসে কাজের ক্ষেত্রে তাঁরা উপভোগ করছে দূষণহীনতা। ট্রাফিক জ্যামে পড়তে হচ্ছে না, দূষণের মোকাবিলা করতে হচ্ছে না, এটা তাঁদের কাছে বড় পাওয়া, জানিয়েছেন তাঁরা।
৪. বাড়িতে কাজ করার পরিকাঠামোর অভাব, রুটিনমাফিক কাজ করার সমস্যা এবং টিম বন্ডিং না থাকা কিছু সমস্যা তৈরি করছে বলেও স্বীকার করেছেন অনেকে। স্থায়ীভাবে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে গেলে এই সমস্যাগুলো কাটাতে হবে বলে মনে করেন তাঁরা।
৫. প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই জানিয়েছেন, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ফলে তাঁদের সংস্থা অপারেশনাল কস্ট বা অফিস চালানোর দৈনন্দিন খরচ বাঁচাতে পেরেছে। ৮৯% মনে করেন, সঠিক পরিকাঠামো তৈরি করা গেলে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের বিকল্প নেই। ৮৫% মনে করছেন, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ফলে তাঁদের দৈনিক যাতায়াতের সময় বেঁচে যাচ্ছে, ফলে দিনে অনেকটা বাড়তি সময় হাতে পাওয়া যাচ্ছে।

সমীক্ষায় অংশ নেওয়া কর্মীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ পুরুষ, ৫৯ শতাংশের বয়স ২৫ থেকে ৩৪ এর মধ্যে। কলকাতা ছাড়াও দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, জয়পুর, আহমেদাবাদ, পুণে এবং সুরাতের ১,০৮২ জন কর্মীর উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে।

Comments are closed.