বাঁধ ভেঙে প্লাবিত গোসাবা-সন্দেশখালি, নোনা জলে নষ্ট বিঘার পর বিঘা

শক্তি বাড়িয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় যশ। ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল প্রতি ঘন্টায় ১৫৫ কিলোমিটার।

আগে থেকেই রাজ্য প্রশাসনের তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকাগুলিকে। সেই মতো প্রশাসন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উপকূলীয় গ্রামগুলি থেকে বহু মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যায়।

বুধবার ছিল পূর্ণিমার ভরা কোটাল। ফলত ভারী বৃষ্টির কারণে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করে পূর্বেই সতর্ক করা হয়েছিল উপকূলীয় এলাকাগুলিকে। নবান্ন সূত্রে খবর, নদীতে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের কারণে গোসবায় প্লাবিত হয়েছে বহু এলাকা। ভেঙ্গেছে বিদ্যাধরীর বাঁধ। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের জলমগ্ন গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির আশ্রমও। সেখানে আটকে পড়েছিলেন আশ্রমিকরা। তাদের উদ্ধার করে এনডিআরএফ।

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক নদীর বাঁধ। বেশ কয়েক জায়গায় বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে হুহু করে নোনা জল গ্রামে ঢুকছে। নোনা জলে নষ্ট বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি।

উত্তর‌ চব্বিশ পরগনার সন্দেশখালি, ধামাখালিতে রাতভর বৃষ্টি হয়, সেই সঙ্গে চলে ঝোড়ো হাওয়া। ভরা কোটালের কারণে জলস্তর বেড়ে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করে। অন্যদিকে অশান্ত সমুদ্রের জল রাত থেকেই নদীতে ঢুকতে শুরু করেছিল।

গ্রামবাসীদের উদ্ধারে নেমেছে এনডিআরএফের দল। বাঁধের জল বিস্তীর্ণ এলাকায় ঢুকে পড়ায় রাস্তা জলমগ্ন। কোথাও কোথাও রাস্তার উপর ১২ ফুট উপর দিয়ে জল বইছে। বর্তমানে সন্দেশখালির সঙ্গে সরবেড়িয়ার যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। সেখানে সেনা কাজ করছে।

পাশাপাশি ধামাখালির কলাগাছি নদীতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় আশপাশের গ্রামগুলি প্লাবিত হয়েছে। ওখানকার বাসিন্দাদের আশঙ্কা ন্যাজাট সহ বিভিন্ন জায়গার নদী বাঁধ ভেঙে পড়তে পারে। তাই দ্রুততার সঙ্গে সাইক্লোন রিলিফ সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা চালাচ্ছে প্রশাসন।

ঘূর্ণিঝড় যশ মোকাবিলায় ১০ টি জেলায় নামানো হয়েছে সেনা। ১৭ কোম্পানির সেনা ইতিমধ্যেই উদ্ধার কার্য শুরু করে দিয়েছে। এছাড়াও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিভিক ভলান্টিয়ার, অফিসার সহ ৩ লক্ষ পুলিশ মোতায়েত করা হয়েছেন।

Comments are closed.