“আমার মধ্যে পাশের বাড়ির মেয়ের গন্ধ পায় সবাই, তারকাদের হাত ধরে যেটা পাবেন না” – জি বাংলা রান্নাঘরের ৫০০০ পর্ব পূর্তিতে সংবাদ মাধ্যমকে বললেন সুদীপা

জি বাংলার জনপ্রিয় নন ফিকশন শো “রান্নাঘর”। জি বাংলার সবথেকে পুরনো নন ফিকশন শো গুলির মধ্যে অন্যতম হল রান্নাঘর। বাংলার ঘরে ঘরে রান্নাঘর পৌঁছেছে একেবারে নিজের লোক হয়ে। রানাঘাট যখন শুরু হয় তখন আদি কালের হেসে হেসেই দেখানো হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে কিন্তু সেখান থেকে আজকের মডিউলার কিচেন অবধি পথ চলাটা মোটেই সহজ ছিল না। আজ থেকে ১৭ বছর আগে শুরু হওয়া এই শোটি এখনো অবধি চলছে। বিষয়টি বেশ গর্বের রান্নাঘর পরিবারের সকলের জন্য। এই শো এর পাঁচ হাজার পর্ব পূর্তিতে উচ্ছসিত হয়ে ওঠেন সঞ্চালিকা।

প্রথম পথ চলায় জি বাংলা চ্যানেলটির নাম ছিল আলফা বাংলা। যখন শোটি শুরু হয় তখন এখনকার মতো এত রমরমা ছিল না রান্না ঘরের। বরং সেইসময়ের রান্নার আরও দুটি শো চলছিল সেই সময় থেকে নিজেকে তুলে এনেছে আজকের রান্নাঘর। এছাড়াও তারপর থেকে বহু ধারাবাহিক শুরু হয়েছে বন্ধ হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনো চলছে এই নন ফিকশন শো। একটা ছোট্ট বাথরুম ঘরের মতো নন এসি রান্নাঘর থেকে আজকের মডেলার কিচেন। সবটাই এক অবিশ্বাস্য পথ চলা।

শুধুমাত্র শো এর পরিবর্তন এসেছে এমন নয়। শো এর সঞ্চালিকা সুদিপার ব্যক্তিগত জীবন থেকে কর্মজীবন সবটাই পাল্টে গিয়েছে। সংবাদ পাঠিকার থেকে শো এর সঞ্চালিকা হয়ে উঠেছেন তিনি। এছাড়াও ব্যক্তিগত জীবনে মুখোপাধ্যায় থেকে হয়ে উঠেছেন চট্টোপাধ্যায়। এমনকি তার জীবনে এসেছে একটি ছোট্ট খুদে আদিদেব। শুধু বদলায়নি রান্না ঘরের সাথে সঞ্চালিকার সম্পর্ক। পুজোর আমেজের মাঝেই নিউটাউনের স্টুডিওতে সেলিব্রেশন হচ্ছে, রান্নাঘরের পাঁচ হাজার বছর পূর্তির অনুষ্ঠান। দেদার খাওয়া দাওয়ার মাঝে পাঁচ তলা কেক রয়েছে তার সাথে।

পাঁচ হাজার পর্ব পূর্তিতে শুধুমাত্র কেক নয় সুস্বাদু খাওয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিল ইলিশ তার পাশে চিংড়ি। এছাড়াও অন্যান্য আরো জমজমাটই খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীতমা, সোনালী এবং শ্রীপর্ণা। বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যমের কাছে সুদিপা বলেন রানাঘাট যখন শুরু হয় তখন তিনি নিজের বাড়ি থেকে বাটি মিক্সি সিলনোরা এসব এনে শো চালিয়েছিলেন। আর সেখান থেকে উনি এখন মডিউলার কিচেনে এসে থামিয়েছে নিজের শো কে।

জি বাংলায় যখন রান্না করা শুরু হয় তখন আরো দুটি রান্নার শো চলছিল। একটি শো এর সঞ্চালিকা ছিলেন সুপ্রিয়া আর একটু সঞ্চালিকা ছিলেন তাপস পালের স্ত্রী নন্দিতা। তাই জন্য বেশ ভালই বড় রকম চ্যালেঞ্জ ছিল বিষয়টি। সেখান থেকেই সবার সাথে রান্না শেয়ার করার ভাবনা আসে। নিজের দক্ষতাতেই দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন সঞ্চালিকা।

Comments are closed.