রথযাত্রার অনুমতি নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ, আপাতত বাতিল রথ কর্মসূচি

রথযাত্রার মামলা ঝুলেই রইল আদালতে, কাটল না জট। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষ যে রথযাত্রার অনুমতি দিয়েছিল, শুক্রবার তার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করল প্রধান বিচারপতি দেবাশিস কর গুপ্ত এবং বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁরা মামলাটি ফের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সিঙ্গল বেঞ্চেই পাঠিয়ে দেন। এর ফলে শনিবার থেকে যে রথযাত্রার প্রস্তুতি বিজেপি নিয়েছিল তা আপাতত বাতিল করতে হচ্ছে বিজেপিকে।
এদিন আদালতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, রথযাত্রায় গণ্ডগোল হতে পারে বলে রাজ্য যে গোয়েন্দা রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে জমা দিয়েছিল, বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী তা খুলে দেখেননি। তাই মামলা ফের তাঁর বেঞ্চে পাঠানো হচ্ছে। আপাতত একদিন হয়েই আদালতে বড়দিনের ছুটি পড়ে যাচ্ছে। ফলত, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের আগে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

সরকার আদালতের বৃহস্পতিবারের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এদিন ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে। রথযাত্রার কারণে গোলমালের আশঙ্কা রয়েছে মূলত এই দাবিতে আদালতকে রথযাত্রায় অনুমোদন না দিতে আবেদন করে তারা।
দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর বৃহস্পতিবার শর্তসাপেক্ষে বিজেপির রথযাত্রার অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। রায়ে জানানো হয়, মিছিলে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে বিজেপিকে। সরকারকে বলা হয়, মিছিলের সময় উপযুক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। তবে, রথযাত্রার সময় যদি কোনও অশান্তি হয়, কোনও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয় তার সমান দায়ভার নিতে হবে বিজেপিকে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মিছিল যাওয়ার ১২ ঘন্টা আগে প্রশাসনকে জানাতে হবে বিজেপিকে। মিছিলের সময় সাধারণ মানুষের কোনওরকম অসুবিধা না হয় তাও দেখার নির্দেশ দেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের স্থগিতাদেশের আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত।
বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এই রায়কে মানতে পারেনি রাজ্য। তাই আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আবেদন করে তারা।
শুক্রবার আদালত বিজেপি পক্ষের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন তাঁরা প্রস্তুত কী না। বিজেপি জানায়, রথযাত্রার প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ইতিমধ্যে শনিবার তারাপীঠ থেকে রথযাত্রার সূচনার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।

Comments are closed.