নীতীশের দলে প্রশান্ত কিশোরের দু’নম্বর পদ মিলেছে অমিত শাহর সুপারিশে

অমিত শাহের আবেদনেই নীতীশ কুমার প্রশান্ত কিশোরকে তাঁর দলে নিয়েছেন। নিজেই একথা জানালেন জেডি (ইউ) নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
মঙ্গলবার একটি সভায় নীতীশ কুমার বলেন, বিজেপির নির্বাচন স্ট্রাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরকে জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর দু’নম্বর পদ দেওয়ার জন্য বিজেপি সভাপতি নিজে ফোন করেছিলেন তাঁকে। দু’বার অমিত শাহের সুপারিশের পরে তাঁকে দলে জায়গা দিয়েছেন নীতীশ কুমার। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির স্ট্রাটেজিস্ট ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। বিজেপিও স্বীকার করেছে, ২০১৪ সালে মোদী সরকারকে ক্ষমতার আনার জন্য বিশেষ অবদান রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের।
এহেন প্রশান্ত কিশোর গত বছর সেপ্টেম্বরে হঠাৎই জেডি (ইউ) দলে নাম লেখান। অনেকেই অবাক হয়েছিলেন, নির্বাচন কৌশলী প্রশান্তের সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেওয়ায়, তাও আবার বিজেপি ছেড়ে নীতীশের দলে যোগ দেওয়ায়।
কিন্তু প্রশান্ত কিশোরের জেডি (ইউ) তে প্রবেশ যে অমিত শাহের সুপারিশে, মঙ্গলবার এই ‘গোপন’ তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন নীতীশ কুমার স্বয়ং। তাঁর কথায়, দলে সেকেন্ড ইন চিফ হিসেবে প্রশান্ত কিশোরকে জায়গা দেওয়া শুধু তাঁর একার সিদ্ধান্ত ছিল না। প্রশান্তকে দলে নেওয়ার জন্য তাঁকে বিজেপি সভাপতি দু’বার ফোন করেছিলেন। তবে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে তিনি যে ভীষণ খুশি সে কথা জানাতেও কসুর করেনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। বিহারের মানুষের সঙ্গে দলের সংযোগ রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের। বিশেষত, রাজ্যের যুবকদের জেডি (ইউ) দলের প্রতি আকৃষ্ট করা এবং তাঁদেরকে দলে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে কৃতিত্ব রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের।
কিন্তু হঠাৎ কেন প্রশান্ত প্রশস্তি করছেন নীতীশ? কেনই বা নিজেই ‘ফাঁস’ করলেন বিজেপি সভাপতির সঙ্গে তাঁর কথোপকথন?
রাজনৈতিক সমালোচকরা বলছেন, শুধু মাত্র ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোদী সরকারকে আনার জন্য নয়, ২০১৫ সালে বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশের হয়ে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাই প্রশান্ত কিশোরের উপর যে তাঁর অনেক আশা তাই জনসমক্ষে প্রকাশ করলেন নীতীশ কুমার। পাশাপাশি, অমিত প্রসঙ্গ টেনে এনে বোঝাতে চাইলেন বিহারে বিজেপি জোট সরকারের কতটা আস্থাভাজন তিনি।

Comments are closed.