সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় বেকসুর খালাস ২২, স্বস্তি বিজেপির

সাক্ষ্যকারীদের বয়ান ও উপযুক্ত প্রমাণ নেই। তাই, ২০০৫ সালে সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে সোহরাবুদ্দিন শেখ ও তাঁর সঙ্গী তুলসিরাম প্রজাপতি ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় ২২ জনকে বেকসুর খালাস করল মুম্বই হাইকোর্ট। শুক্রবার মুম্বই আদালত জানায়, সোহরাবুদ্দিন, তুলসিরাম ও সোহারাবুদ্দিনের স্ত্রীয়ের মারা যাওয়ার ঘটনায় যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করা হয়েছিল, তার সুনির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন বিজেপি সভাপতি এবং গুজরাতের তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অমিত শাহ।
রায়ের পর সোহারাবুদ্দিনের পরিবার জানিয়েছে, তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন। সোহারাবুদ্দিনের ভাইয়ের কটাক্ষ, ‘অন্ধা কানুন’ চলছে। সিবিআই এবং আদালতের এই রায় অন্ধের মতো।
২০০৬ সালে গুজরাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে সোহারাবুদ্দিন শেখ ও তাঁর সঙ্গী তুলসিরাম প্রজাপতির মৃত্যু হয়। পরে সোহরাবুদ্দিনের স্ত্রীরও মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, ভুয়ো এনকাউন্টারে খুন করা হয়েছে সোহারাবুদ্দিন ও তুলসিরামকে। নাম জড়ায় প্রায় ২২ জনের। যাঁর মধ্যে বেশিরভাগই গুজরাত ও রাজস্থানের পুলিশ অফিসার।
সেই সময় তদন্তে নেমে মোট ৩৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিবিআই, যাঁর মধ্যে ছিলেন গুজরাতের তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অমিত শাহ, ডিজি বানজারা এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার। মামলা দায়ের হয় তাঁদের বিরুদ্ধে। এদিন আদালত ২২ জনকে বেকসুর খালাস করায় স্বস্তি পেল বিজেপি।

Comments are closed.