আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার, স্বাগত বাম-কংগ্রেসের, কটাক্ষ বিজেপির

ধর্মের ভিত্তিতে নয়, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণে অনুমোদন দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করা হলেও, কারা এই সংরক্ষণের আওতায় আসবেন, আর্থিক মানদণ্ডই বা কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই সংরক্ষণের সিদ্ধান্তকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঐতিহাসিক’ সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, যাঁরা যে ক্যাটাগরিতে সংরক্ষণের সুবিধা পেয়েছেন, তা আগের মতোই থাকবে। সেইসঙ্গে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ যুক্ত করা হচ্ছে।
বিরোধীরা রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও বিজেপির কটাক্ষ, মোদীর জুতোতেই শেষ পর্যন্ত পা গলাতে হচ্ছে মমতাকে। লোকসভা ভোটের আগেই উচ্চ বর্ণের আর্থিকভাবে দুর্বলদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার। বার্ষিক আয় ৮ লক্ষ টাকার কম, ৫ হেক্টরের কম জমির মালিক এবং হাজার স্কোয়ার ফিটের কম বাড়ি থাকা বা পুর এলাকায় ২০৯ গজের কম আয়তন বিশিষ্ট বাড়ি থাকলে, তাকে এই সংরক্ষণের মানদণ্ড হিসেবে নির্ধারণ করেছিল কেন্দ্র। তবে রাজ্যের ক্ষেত্রে এই মানদণ্ড কী হবে তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। ধর্ম, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সত্যি আর্থিকভাবে দুর্বলদের সংরক্ষণের সুবিধা পৌঁছে দেওয়াই হবে রাজ্য সরকারের কাছে আসল চ্যালেঞ্জ, মন্তব্য সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর। অর্থনীতিবিদদের একাংশের ব্যাখ্যা, প্রকৃতই আর্থিকভাবে দুর্বলদের চিহ্নিত করার কাজ বেশ কষ্টসাধ্য। সেই বাধা যদি কাটাতে পারে রাজ্য সরকার, তাহলে এই সংরক্ষণের উদ্যোগ সফল হবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Comments are closed.