ভারতীয় রেলের বেসরকারিকরণে ফের বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের। বিশ্বমানের প্রাইভেট ট্রেনের সুবিধা দিতে একশোরও বেশি রুটে অন্তত দেড়শো ট্রেন বেসরকারি সংস্থাকে লিজে (Train Lease) দিচ্ছে ভারতীয় রেল।
নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্তের নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের কমিটি এবং রেলওয়ে বোর্ড আলোচনার মাধ্যমে এই লিজের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই প্রায় দেড়শো প্যাসেঞ্জার ট্রেন বেসরকারি অপারেটরদের হাতে তুলে দেবে মোদী সরকার। মোটামুটি ২২,৫০০ কোটি টাকার বিনিয়োগে হবে এতে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অ্যাপ্রাইজাল কমিটি (পিপিপিএসি) আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে কীভাবে বেসরকারি বিনিয়োগ আনা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করে অমিতাভ কান্তের নেতৃত্বাধীন কমিটি ও রেলবোর্ড।
সূত্রের খবর, নিলামে যাদের ডাকা হবে তাদের মধ্যে থাকবে ট্যুর অপারেটর, ট্র্যাভেল ফার্ম, রোলিং স্টক সংস্থা। প্রত্যেক সংস্থাকে অন্ততপক্ষে ১২ টি ট্রেনের নিলামে অংশ নিতে হবে। সর্বোচ্চ ৩০ টি ট্রেনের নিলামে (Train Lease) অংশ নিতে পারবে একটি বেসরকারি সংস্থা। জানা গিয়েছে, লিজ নেওয়া সংস্থাকে প্রতি ট্রেনের অন্তত ১৬ টি কোচে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা তৈরি করতে হবে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রথম বেসরকারি ট্রেন লখনউ- দিল্লি তেজস এক্সপ্রেস পরিচালনাকারী সংস্থা আইআরটিসি বেশ কিছু সরকারি ছাড়ের সুবিধা পেয়েছে। যেহেতু এটি সরকারি এন্টারপ্রাইজ এবং নতুন বিজনেস মডেল চালু করার চেষ্টা করছে তাই এই ছাড়। কিন্তু অন্য বেসরকারি সংস্থাকে এমন ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হবে না। বেসরকারি সংস্থাগুলি তাদের মোট রাজস্ব ভাগের ভিত্তিতে (ভাড়া ও অ-ভাড়া) অথবা ভারতীয় রেলের সঙ্গে যে রাজস্ব তারা ভাগ করবে তার ভিত্তিতে নিলামে অংশ নেবে। বর্তমান প্রস্তাব অনুযায়ী, ২৫ শতাংশ মাশুল চার্জ নেওয়া হবে রেলওয়ে টার্মিনাল ব্যবহারের ব্যয়, ট্রেনে পরিবহণ, ট্র্যাকশন খরচ (বিদ্যুৎ), ট্র্যাক রক্ষাণাবেক্ষণ, সিগন্যালিং-এর উপর। বেসরকারি সংস্থাগুলি নিজেদের মতো পার্সেল বা মাল পরিবহণ করার অনুমোদন পাবে। এমনকী তাদের নিজস্ব ভাড়া এবং ট্রেনের স্টপেজের ব্যাপারেও স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বেসরকারি সংস্থাকে ৩৫ বছরের জন্য সংশ্লিষ্ট ট্রেন রুট লিজে দেওয়া হবে।
Comments