জনগণের নিরাপত্তার জন্য শহরে গড়ে উঠছে একাধিক নতুন অস্থায়ী দমকল স্টেশন, জেনে নিন কোথায় কোথায়

চলতি বছরে দূর্গা পুজোর দশমীর দিন অগ্নিকাণ্ড ঘটে বেশ কয়েকটি মণ্ডপে। আর সেই কারণে কালী পুজোয় জনগণের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বৈঠকে বসলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। কালী পুজো উপলক্ষে অতিরিক্ত ফায়ার স্টেশনের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী দুর্গা মণ্ডপগুলিকে কনটেইনমেন্ট জোন করার পরও বাজি ফাটান জনতা। যার জন্য অগ্নিকাণ্ডে প্রতিমা সহ ছাই হয়ে যায় দুর্গা মণ্ডপ। সম্প্রতি হাইকোর্ট নির্দেশ জারি করেছে কালী পুজোয় নিষিদ্ধ থাকবে সব রকমের বাজি। তবু কোনও প্রকার ঝুঁকি নিতে রাজি নয় দমকল বিভাগ।

সোমবার সকালে বৈঠকের পরই দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, কালী পুজোয় জনগণের নিরাপত্তার জন্য তৈরি করা হচ্ছে ১৮টি অস্থায়ী ফায়ার স্টেশন। বর্তমানে রাজ্যে মোট ১৪৬টি স্থায়ী ফায়ার স্টেশন রয়েছে। সেই সব স্থায়ী স্টেশনের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। রাজ্যের সর্বত্র আরও ১৫ টি নতুন স্থায়ী স্টেশন তৈরি করা হবে। মোট ২০০ টি ফায়ার স্টেশন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানান দমকল মন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই নানা সরঞ্জাম কেনা হয়েছে ফায়ার স্টেশনগুলির পরিকাঠামো বাড়ানোর জন্য। ল্যাডার থেকে মোবাইল বাইক, মাস্ক, গ্লাভস ও স্যানিটাইজার কেনা হয়েছে। অত্যাধুনিক ল্যাডার পাঠানো হচ্ছে শিলিগুড়িতে একাধিক বহুতল তৈরির কাজে। এছাড়া দুর্গাপুরেও পাঠানো হবে ল্যাডার, জানান তিনি।

আর্মহার্স্ট স্ট্রিট থানা, তিলজলা থানা, নৈহাটি থানা, ট্যাংরা থানা, কালীঘাট থানা, গড়িয়াহাট থানা, ব্যাঁটরা থানা, কসবা থানা, টালিগঞ্জ থানা, এভি স্কুল, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া মোড়, বারাসত থানা, চাঁপাডালি মোড়, লেকটাউন থানা, রাজারহাট থানায় কালীপুজো উপলক্ষে গড়ে তোলা হচ্ছে অস্থায়ী ফায়ার স্টেশন।

Comments are closed.