মিশন বিজেপি হঠাওঃ ১৯৯৬ এর পুণরাবৃত্তি হবে ২০১৯ সালে, বললেন কুমারস্বামী-চন্দ্রবাবু

কর্ণাটকে উপনির্বাচনে বিজেপির ধাক্কা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বলা যেতে পারে নতুন গতিতে শুরু হয়ে গেল বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার তৎপরতা। এবং ১৯৯৬ সালে যেভাবে বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেসের সমর্থনে দেশের বিরোধী দলগুলি জোট বেঁধেছিল, ২০১৯ সালেও তার পুণরাবৃত্তি হবে বলে বৃহস্পতিবার অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে বৈঠকের পর দাবি করলেন জেডিএস নেতা এবং কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। ১৯৯৬ সালে কুমারস্বামীর বাবা তথা জনতা দল সেকুলার (জেডিএস) নেতা এইচ ডি দেবগৌড়াকে বিরোধী জোট নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছিল।


পড়ুনঃ বাংলা তো বটেই, কেরল বাদে গোটা দেশেও কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার রাস্তা খুলে ২০১৯ এর রাজনৈতিক অবস্থান ঘোষণা করল সিপিএম


বৃহস্পতিবার, চন্দ্রবাবু বেঙ্গালুরু গিয়ে বৈঠক করেন দেবগৌড়া ও তাঁর ছেলে তথা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর সাথে। বৈঠকে তিনজনই সহমত পোষণ করেন, সময়ের দাবি হল বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের সংঘবদ্ধ জোট। না হলে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিকে বাঁচানো যাবে না। প্রধানমন্ত্রী পদে বিরোধীরা কাকে প্রার্থী করবে সে বিষয়ে অবশ্য এদিন খোলসা করে কিছু আলোচনা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে পরে আলাপ-আলোচনার সুযোগ রয়েছে জানিয়ে, কুমারস্বামী এদিন বলেন, বিরোধীদের মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্য নেতার অভাব নেই। তাই সেই জায়গাও খালি থাকবে না। এদিন প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে কুমারস্বামী খোলসা করে কিছু না বললেও, দু’দিন আগে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে কর্নাটকের উপনির্বাচনের সাফল্যের পর তিনি বলেছিলেন, রাহুল গান্ধীর উচিত বিরোধী জোটকে নেতৃত্ব দেওয়া।
তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও আগামী জানুয়ারি মাসে কলকাতার ব্রিগেডে বিজেপি বিরোধী দলগুলির সমাবেশ ডেকেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই বলেছেন, কে ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা পরের কথা, আগে দরকার বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যূত করা। এদিন একই সুর শোনা গিয়েছে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।
এদিন বৈঠকের পর চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, আরবিআই, সিবিআই-এর মতো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব যখন বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে, তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে, সিবিআইকে বিরোধীদের হেনস্থা করার কাজে লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে, তখন জোটবদ্ধ বিরোধিতাই একমাত্র পথ। প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রশ্নে টিডিপি প্রধান এদিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা প্রধানমন্ত্রী ও রাজনীতি নিয়ে ভাবছেন, আমার চিন্তা দেশের গণতন্ত্র রক্ষা করার।’
কুমারস্বামী জানিয়েছেন, সমস্ত বিরোধী নেতৃত্বকে নিয়ে আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারি তিনি এক সমাবেশের আয়োজন করতে চান। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই দিল্লি গিয়ে চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল, লোকতান্ত্রিক সমাজবাদী দলের নেতা শরদ যাদব, ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুখ আবদুল্লার সঙ্গে। এর আগে তিনি বৈঠক করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর সঙ্গেও। শুক্রবার তাঁর ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে বৈঠক করার কথা।

Comments are closed.