দিদিকে বলোর দ্বিতীয় দফায় ১০ দিনে ২ হাজার গ্রামে যাবেন তৃণমূল নেতারা, বিজেপিকে টক্করে ১৯ তারিখ থেকে সম্প্রীতি যাত্রা

আগামী ১০ দিনে ব্লক নেতাদের ২ হাজার গ্রামে যাওয়ার নির্দেশ দিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করল তৃণমূল। বুধবার থেকে রাজ্যজুড়ে বিজেপির ‘গান্ধী সঙ্কল্প যাত্রা’ শুরুর আগের দিন তৃণমূলের ‘সম্প্রীতি যাত্রা’ নিয়ে বৈঠক করল শীর্ষ নেতৃত্ব।
পুরভোটের মুখে মঙ্গলবার তৃণমূলের ব্লক ও সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে নতুন কী পরিকল্পনা নিতে চলেছে তা নিয়ে জল্পনা ছিল রাজনৈতিক মহলে। মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনের এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং দলের সাধারণ সম্পাদক অরূপ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে এই বৈঠকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া মেলায় এবার দ্বিতীয় পর্যায় রূপায়নের পথে নামছে তৃণমূল। ‘দিদিকে বলো’ দ্বিতীয় পর্যায়ের রূপায়নে প্রায় ৬০০ নেতাকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিরা ছাড়াও রয়েছেন ব্লক ও টাউন স্তরের নেতারা। দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য রাজ্যের ২ হাজার গ্রাম ও ওয়ার্ডকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই পর্বে বিজয়ার শুভেচ্ছা, জনসংযোগ সভা, সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনা, গ্রাম-শহরের সেই নির্দিষ্ট এলাকায় বিশিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক, স্থানীয় পার্টি ও বুথস্তরের কর্মীদের নিয়ে দরজায় দরজায় ঘুরে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো, সেই সঙ্গে দল থেকে স্থির করে দেওয়া গ্রাম ও ওয়ার্ডে গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন নেতারা। প্রথম দফার মতোই জনসংযোগ সভা শেষে রাতে সংশ্লিষ্ট গ্রাম বা ওয়ার্ডের কোনও দলীয় কর্মীর বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দিদিকে বলোর প্রথম দফায় যে সমস্ত নেতা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেননি বা কাজে ফাঁকি দিয়েছেন, তাঁদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

পাশাপাশি, আগামী ১৯ শে অক্টোবর থেকে ২৪ শে অক্টোবরে ব্লকে ব্লকে তৃণমূলের ‘সম্প্রীতি যাত্রা’ বের হবে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ১৫ থেকে ২৬ শে অক্টোবর পর্যন্ত বিজেপির ‘গান্ধী সঙ্কল্প যাত্রা’র পাল্টা হিসাবে তৃণমূলের এই সম্প্রীতি যাত্রা।

Comments are closed.