স্টার্ট-আপ বিজনেসে বিশেষ সুবিধে চালু রাজ্য সরকারের, নলেজ বেসড শিল্পের জন্য নয়া খসড়া প্রস্তুত

রসগোল্লা থেকে জয়নগরের মোয়া, মাদুর থেকে বাংলার বিভিন্ন হস্তশিল্প ও খাদ্যদ্রব্য জিআই ট্যাগ পেয়েছে। এই সব পণ্যের বেশিরভাগেরই ইন্টেলেকটুয়াল প্রপার্টি রয়েছে রাজ্যের। এমন সব ক্ষুদ্র শিল্পের শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে নলেজ-বেসড ইন্ডাস্ট্রির নতুন খসড়া তৈরি করল রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতর। খসড়া অনুযায়ী, কোনও স্টার্ট-আপ বিজনেসের উদ্যোগকারীরা নিজেদের উদ্ভাবনী জিনিসে পেটেন্ট ও জিআই ট্যাগ পাবেন সহজে। তাছাড়া নলেজ বেসড স্টার্ট-আপ শিল্পের জন্য আকর্ষণীয় সুবিধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
উদ্ভাবনী জিনিসকে প্রযুক্তিগত সাহায্য থেকে শুরু করে তাকে বাজারজাত করা, এমনকী উদ্যোগীদের আর্থিক সহায়তার বিষয়ও ঠাঁই পেয়েছে এই খসড়ায়।
বিভিন্ন দ্রব্যের উপর পাওয়া জিওগ্রাফিক্যাল ও ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি স্বত্ত্বকে কাজে লাগিয়ে নয়া বিনিয়োগ টানতে এই খসড়া প্রস্তুত করেছে রাজ্য সরকার। নলেজ বেসড শিল্পের উন্নতির স্বার্থেই এই উদ্যোগ। খসড়া অনুযায়ী, জিআই বা আইপি স্বত্ত্ব নিয়ে স্টার্ট-আপ বিজনেস শুরু করলে উদ্যোগীদের বিশেষ সহায়তা করবে রাজ্য সরকার। উদ্যোগীদের প্রযুক্তিগতভাব এবং উৎপাদিত সামগ্রী বাজারজাত করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে সরকার। উপরন্তু মিলবে ‘উৎসাহ ভাতা’। এছাড়াও উদ্যোগীদের বেশ কিছু সাহায্য করা হচ্ছে। যেমন, নলেজ বেসড শিল্পে স্ট্যাম্প ডিউটি, রেজিস্ট্রেশন ফি এবং মূলধন বিনিয়োগের উপর ২০ শতাংশ ভর্তুকি মিলছে। লিজ বা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করলে প্রতি বর্গফুটে পাঁচ টাকা অথবা বাড়ি ভাড়ার ২৫ শতাংশ রাজ্য সরকার ৩ বছরের জন্য ভর্তুকি দেবে। স্টার্ট-আপ সংস্থা তাদের উদ্ভাবিত দ্রব্যকে পেটেন্ট হিসেবে নথিভুক্ত করতে চাইলেও সাহায্য করা হবে। দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত এই বিষয়ে আর্থিক সাহায্য করবে রাজ্য সরকার।

Comments are closed.