গরুর দুধ না মোষের দুধ! কোনটি আপনার জন্য উপযোগী?
সুষম আহারের মধ্যে দুধ অন্যতম। পুষ্টিগুণের সম্পন্ন সমস্ত রকম উপাদানই রয়েছে দুধের মধ্যে।
ছোটবেলায় সাধারণজ্ঞান থেকে শুরু করে বিজ্ঞানের পাতায় পড়েছি সুষম আহারের মধ্যে দুধ অন্যতম। পুষ্টিগুণের সম্পন্ন সমস্ত রকম উপাদানই রয়েছে দুধের মধ্যে। বাজারে প্যাকেট দুধের চল থাকলেও সুস্বাস্থ্য এবং পুষ্টি সম্পন্ন খাদ্যতালিকায় গরু এবং মোষের দুধের নামই উঠে আসে। কিন্তু আপনাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে যাদের গরুর দুধ শরীর সহ্য করতে পারেনা, তেমনি অনেকেরই মোষের দুধও সহ্য হয় না।
গরু এবং মোষের দুধের প্রধান পার্থক্য হল ঘনত্ব। গরুর দুধের তুলনায় মোষের দুধের ঘনত্ব অনেক বেশি। সেই কারণেই দই বা পায়েস বানানোর ক্ষেত্রে অনেকেই মোষের দুধ বেশি পছন্দ করে থাকেন। তবে এছাড়া অনেক পার্থক্য রয়েছে। পার্থক্য জানার পাশাপাশি জেনে নিন কোনটি আপনার শরীরের জন্য ভালো…
রঙ: মোষের দুধের রঙ গরুর দুধের থেকে তুলনামূলক বেশি সাদা হয়। অন্যদিকে গরুর দুধের রঙ তুলনায় কিছুটা হলুদ। রঙয়ের এই তারতম্যের অন্যতম কারণ হলণ মোষের দুধে বিটা ক্যারোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে অপরদিকে গরুর দুধে পরিমাণে অনেক কম।
কোলেস্টেরল: মোষের দুধে কোলেস্টেরলের পরিমাণ গরুর দুধের তুলনায় কম। তাই যারা কিডনি বার হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছেন তারা গরুর দুধের বদলে মোষের দুধ বেছে নিতে পারেন।
স্নেহপদার্থ: যেহেতু মোষের দুধের ঘনত্ব বেশি তাই এতে প্রচুর পরিমাণে স্নেহপদার্থ রয়েছে। পাশাপাশি গরুর দুধে স্নেহ পদার্থের পরিমাণ তুলনামূলক হারে কম। ফলে মোষের দুধ খেলে শরীরে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকতে পারে।
পুষ্টিগুণে কেউ কারোর চেয়ে কম নয়। কিন্তু শরীরে অসুখ-বিসুখে আখড়া থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এগোনই ভাল।
Comments are closed.