মমতা: ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম

বিরোধীদের আক্রমণের পাশাপাশি নন্দীগ্রামের  জন্য একাধিক ঘোষণা করলেন মমতা। 

একুশের ভোটে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণার পরে মঙ্গলবার প্রথম কর্মী সম্মেলন করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাজনৈতিক মহলের চোখ ছিল এই হাইভোল্টেজ কর্মী সভার দিকে। মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হওয়ায় নন্দীগ্রাম বাসীর স্বাভাবিক ভাবেই প্রত্যাশা ছিল প্রথম সভা থেকে  নেত্রী কী ঘোষণা করেন। বিরোধীদের আক্রমণের পাশাপাশি নন্দীগ্রামের  জন্য একাধিক ঘোষণা করলেন মমতা। 

মমতার নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই শুভেন্দু তাঁকে বহিরাগত বলে তোপ দেগেছিলেন। নন্দীগ্রামের সঙ্গে তাঁর আত্মিক যোগ বোঝাতে এদিন মমতা তুলে আনেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের স্মৃতি। মমতার দাবি, সিঙ্গুর আন্দোলনের সঙ্গে নন্দীগ্রামেরে জমি আন্দোলনকে জুড়েছিলেন তিনি। নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে দেশ তথা বিশ্বের দরবারে নিয়ে গিয়েছেন মমতা। সেই সঙ্গে মমতা জানান, তিনি এক বছরের জন্য নন্দীগ্রামের দুটি  ব্লকে বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন। তিন মাস অন্তর তিনি নন্দীগ্রামে আসবেন। আন্দোলনের আঁতুড় ঘরে একটি কুঁড়ে ঘর বানিয়ে পরবর্তীকালে পাকাপাকিভাবে থাকার ইচ্ছেও প্রকাশ করেন কর্মীসভা থেকে। 

[আরও পড়ুন- মঙ্গলেই নন্দীগ্রামে মমতা, বুধে মনোনয়ন, করতে পারেন জোড়া পদযাত্রা]

এদিন নন্দীগ্রামকে নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথাও জানান মমতা। তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম হলদিয়ার মধ্যে একটি ব্রিজ তৈরী করে দেবেন। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরীর কথা ঘোষণা করেন মমতা। তৃণমূলের আমলে তৈরী হওয়া সুপারস্পেসালিটি হাসপাতালের কথাও এদিন বলেন তিনি। মঙ্গলবার তাঁর সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শহীদ পরিবারের সদস্য তথা তৃণমূল প্রার্থী ফিরোজা বিবি, চন্ডীপুরের প্রার্থী অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী।  তাঁদেরকেও ভোট জেতানোর আবেদন করেন তৃণমূল নেত্রী। জমি আন্দোলনের মাটি থেকে অসংখ্য তৃণমূল কর্মীর উদ্দেশ্য মমতার ঘোষণা, ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম।

Comments are closed.