কোন ফর্মুলায় বাজপেয়ী জমানার অর্থমন্ত্রী তৃণমূলে? জানেন যশবন্ত সিনহার পরিচয়?
২০১৮ সালে বিজেপি ছাড়েন যশবন্ত সিনহা
শনিবার তৃণমূলে যোগ দিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। অর্থমন্ত্রকের পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন বিজেপির প্রাক্তন জাতীয় মুখপাত্র। এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েই যশবন্ত বলেন, দেশ এখন এক অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বিপদের মুখে গণতন্ত্র।
একসময়ের বিজেপির হেভিওয়েট নেতার ভোটের মুখে তৃণমূলে যোগদান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
১৯৩৭ সালে ৬ নভেম্বর বিহারের পাটনায় জন্মগ্রহণ করেন যশবন্ত সিনহা। ১৯৫৮ সালে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পলিটিক্যাল সায়েন্সে মাস্টার ডিগ্রি করেন। সেই সঙ্গে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন তিনি। ১৯৬০ সালে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। তারপর দীর্ঘ ২৪ বছর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদ সামলেছেন প্রাক্তন এই আমলা। ২ বছরের জন্য ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রকের ডেপুটি সেক্রেটারির দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৩ জার্মানিতে ভারতীয় দূতাবাসের সেক্রেটারি ছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ এই আমলা ১৯৮৪ সালে সিভিল সার্ভিস থেকে অবসর নেন।
সিভিল সার্ভিস থেকে অবসর নিয়ে ১৯৮৪ সালে যোগ দেন জনতা দলে। ১৯৮৬ সালে জনতা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হন তিনি। ১৯৮৮ সালে রাজ্যসভার সাংসদ। ১৯৯০ থেকে ১৯৯১ চন্দ্রশেখরের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর ভার সামলান।
পরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে ১৯৯৬ সালে তিনি পার্টির জাতীয় মুখপাত্র হন। ১৯৯৮ সালে ফের একবার অর্থমন্ত্রী হন। ২০০২ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত সামলেছেন বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব। ২০০৪ সালে হাজারিবাগ কেন্দ্র থেকে পরাজিত হন পোড়খাওয়া এই রাজনীতিক। ২০০৯ সালে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ ছাড়েন এবং ২০১৮ সালে বিজেপি ছাড়েন তিনি।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহু সম্মান পেয়েছেন তিনি। পেয়েছেন ফ্রান্সের সবোর্চ্চ নাগরিক সম্মান। বর্ণময় কর্মজীবনে এখন নয়া ইনিংস শুরু করলেন তৃণমূলে যোগ দিয়ে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের উত্তরীয় গলায় যশবন্ত বলেন, একুশের নির্বাচন বাংলার পাশাপাশি দেশের ভবিষৎ নির্ধারণ করবে। এই সময়ে মমতা ব্যানার্জির হাত শক্ত করাই সবার কর্তব্য।
Comments are closed.