পশ্চিমবঙ্গ জয়ের পরেই জাতীয় রাজনীতিতে আরও প্রভাব বিস্তার করতে মরিয়া তৃণমূল। সেই লক্ষ্যেই বাংলা জয়ের পরে পরেই ত্রিপুরায় ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই সে রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে ঘাসফুল শিবিরের উত্থান ঘটেছে। এবার সৈকত শহরে পা রাখতে চলছে মমতার দল।
তৃণমূল সূত্রে খবর, চলতি মাসের শেষ কিংবা আগামী মাসের শুরুতেই গোয়া যাচ্ছেন দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। ২০২২ গোয়ায় বিধানসভা ভোট। ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় আসন জয়ে মরিয়া তৃণমূল। সেই উদ্দেশ্যেই অভিষেকের এই গোয়া সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
সম্প্রতি গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা লুইজিনহো ফালেরিওকে দলে টেনে চমক দিয়েছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীত্বের পাশাপাশি ২০১৩ সাল থেকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন ফালেরিও। উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলেছেন। জানা গিয়েছে, তাঁর তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যেই গোয়ায় সংগঠন মজবুত করতে শুরু করেছে তৃণমূল। কয়েকদিন মধ্যেই গোয়ার কয়েকজন প্রাক্তন ফুটবলার ও এক অভিনেত্রী তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন।
উল্লেখ্য ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস জিতেছিল ১৭টি আসন। বিজেপি পেয়েছিল ১৩টি। যদিও রাজনৈতিক পালাবদলে সরকার তৈরি করে গেরুয়া শিবির। এই আবহে আগামী বিধানসভায় বিজেপিকে তৃণমূল রুখতে পারে কিনা এখন সেটাই দেখার।
Comments are closed.