আজ কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সামান্য কেরানীর ছেলে থেকে ২২৫ কোটির জনপ্রিয় বলিউডের অভিনেতা! অনুপম খেরের জীবন যেন আস্ত সিনেমা
বলিউডের জনপ্রিয় বর্ষীয়ান অভিনেতা অনুপম খের কে নিয়ে নতুন করে আর কিছুই বলার নেই। তার অভিনয় দক্ষতা আমরা প্রত্যেকেই জানি। নিজের অভিনয় জীবনে তিনি দর্শকদের দারুন দারুন ছবি উপহার দিয়ে গিয়েছেন। প্রতিটি চরিত্রে নিজেকে দক্ষ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন সকলের সামনে। বিশেষ করে তার বর্তমান সময়ের ছবি বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘দ্যা কাশ্মীর ফাইলস’ দেশবাসীকে আরো নাড়িয়ে তুলেছে। ৬৭ বছর বয়সে এসে এই দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য দর্শক তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে।
তবে বর্তমানে তিনি যেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে সেই জায়গায় আসার জন্য তাকে একসময় কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছিল। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তাকে এই জায়গা তৈরি করে নিতে হয়েছিল বলিউডে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের সেই পুরনো দিনের কথাই তুলে ধরলেন অভিনেতা। বর্তমানে বিবেক অগ্নিহোত্রীর দ্যা কাশ্মীর ফাইলস ২০০ কোটির ব্যবসা ছাড়িয়ে গিয়েছে। আর এই সাফল্যের জন্য সারা দেশের মানুষের থেকে অসংখ্য ভালবাসা এবং শুভেচ্ছা পাত্তা পাচ্ছেন অনুপম খের। আর সেই শুভেচ্ছা বার্তা পেয়ে পুরনো দিনের কথা মনে করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন অভিনেতা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুন অ্যাক্টিভ থাকেন অভিনেতা। মাঝেমধ্যেই ভক্তদের সঙ্গে নিজের জীবনের ছোট বড় গল্প ভাগ করে নেন। ওই দিনও ইনস্টাগ্রামে অভিনেতা জানিয়েছেন মধ্যবিত্ত পরিবারের কেরানির ছেলে হয়ে এই জায়গায় আসাটা খুব একটা সহজ ছিল না। জানালেন নিজের প্রথম ছবি সারাংশ থেকে বর্তমান ছবির দ্যা কাশ্মীর ফাইলস এর পুরো জার্নিটা।
অভিনেতা জানান একসময় বিট্টু নামের একটি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সামান্য কেরানীর ছেলে ছিল। যার নাম পুষ্কর নাথ সেই ছেলেটিকে একসময় কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে এবং সে বর্তমানে একজন সফল অভিনেতা। তার নাম অনুপম খের। বিগত ৩৮ বছর ধরে সে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছে। বলিউডে ৫০০ টিরও বেশি সিনেমা তে অভিনয় করেছেন তিনি। এরপরে বিবেক অগ্নিহোত্রী তরফ থেকে দ্যা কাশ্মীর ফাইলসে অভিনয় করার জন্য ডাক আসে এবং সেই ছবিতেই নিজের সবটুকু দিয়ে তিনি সেরা অভিনয়টা করতে চেয়েছেন।
সেই সাথে ছবিতে তার চরিত্রের নাম পুষ্কর নাথ রাখার অন্যতম কারণ হলো বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। “আজ বিট্টু নামে সেই ছেলেটার সিনেমা দারুণভাবে সাফল্য অর্জন করেছে। এক কেরানির ছেলে থেকে ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা করা সিনেমার সদস্য, তাও আবার ৬৭ বছর বয়সে, এটাই তো স্বপ্নপূরণ। একেই তো বলে জীবনে সব কিছু সম্ভব। জয় হো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের।”
Comments are closed.