সাবরীমালা ইস্যুকে ভোটের প্রচারে ব্যবহার করা যাবে না, কেরলে নিষেধাজ্ঞা জারি নির্বাচন কমিশনের। মানতে নারাজ বিজেপি
সাবরীমালা মন্দির ইস্যুকে নিয়ে কোনও নির্বাচনী প্রচার যাবে না, লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘোষণা করলেন কেরলের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার টি আর মিনা। সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন অফিসার জানান, সাবরীমালা মন্দির ও মন্দিরের দেবতাকে নিয়ে কোনওরকম নির্বাচনী প্রচার করতে পারবে না কোনও রাজনৈতিক দল। এই সম্পর্কে স্পষ্ট বিধি নিষেধ আরোপ করেন তিনি।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সাবরীমালা মন্দির মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ঐতিহাসিক রায় দেয়। যে কোনও ঋতুমতী মহিলার সাবরীমালার গর্ভগৃহে প্রবেশে অধিকার দেয় শীর্ষ আদালত। কিন্তু বিজেপি, আরএসএস সহ দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলি এই রায়ের বিরোধিতা করে আন্দোলন শুরু করে। কয়েক মাস ধরে এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই ইস্যুকে ঢাল করে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা পিনারাই বিজয়ন সরকারকে চাপে ফেলার কৌশল নেয়। কিন্তু সোমবার রাজ্যের নির্বাচনী অফিসারের এই নির্দেশিকার জেরে, কেরালায় বিজেপি ফাঁপরে পড়ল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সাবরীমালা মন্দির ইস্যুকে ‘অতি বিতর্কিত’ বলে মন্তব্য করে রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিক টি আর মিনা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন তিনি। সেখানেও তাঁদের কাছে আবেদন করা হবে, এই ইস্যুকে নিয়ে যেন কোনও ধর্মীয় জিগির তুলে নির্বাচনী প্রচার না করেন তাঁরা।
রাজ্যের নির্বাচনী অফিসারের এই বিধিনিষেধ মেনে নিয়েছে সিপিএম। গত লোকসভা নির্বাচনে তিরুবনন্তপুরম কেন্দ্র থেকে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী শশী থারুরও এই নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, একমাত্র বিজেপিই একে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে সোমবার শশী থারুর বলেন, রাস্তায় রাস্তায় হট্টগোল করে ভোট পাওয়া যায় না।
অন্যদিকে, কেরলের বিজেপি সাংসদ ভি মুরলিধরণ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, মুখ্য নির্বাচন অফিসার তাঁর সীমা পেরিয়ে যাচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকলেও, যে কোনও রাজনৈতিক দলেরই প্রশ্ন তোলার অধিকার রয়েছে বলে দাবি করেন ওই বিজেপি নেতা।
Comments are closed.