থিম সংয়ের পর এবার মানহানি মামলা, বাবুল সুপ্রিয়কে আইনি নোটিস অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে ঘাসফুল ও পদ্ম শিবিরের দ্বন্দ্ব। একে অপরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি-তৃণমূল, উভয় দলই।

দলীয় থিম সংয়ে দলনেত্রীর বিরুদ্ধে কুৎসার অভিযোগে আগেই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল তৃণমূল প্রভাবিত একটি ছাত্র সংগঠন। যা নিয়ে নির্বাচন কমিশনও শো-কজ নোটিস পাঠিয়েছিল বাবুল সুপ্রিয়কে। এবার অন্য একটি অভিযোগে তাঁকে আইনী নোটিস পাঠালেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১৭ সালের ৩০ শে নভেম্বর এক সাংবাদিক বৈঠকে বাবুল সুপ্রিয় অবৈধ কয়লা কারবারিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জড়িয়ে রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন। বাবুলের এই অভিযোগকে ‘মিথ্যে’ ও ‘মর্যাদাহানিকর’ বলে মন্তব্য করে আগেও তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৮ সালের ২৪ শে জুলাই আদালত নির্দেশ দেয় বাবুল সুপ্রিয়কে মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। কিন্তু তেমনটা না হওয়ায় এই আইনী নোটিস পাঠানো হল বলে দাবি তৃণমূলের। বাবুল সুপ্রিয়র মুম্বইয়ের আন্ধেরির বাড়ি ও মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপির অফিসের ঠিকানায় এই নোটিস পাঠানো হয়।
অন্যদিকে, কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে রয়েছে ১১ টি এফআইআর। শুধু দিনহাটা থানাতে তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ৮ টি মামলা। কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় একটি এবং আলিপুরদুয়ারে তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে দুটি মামলা। খুন, ডাকাতি, অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা থাকলেও কোনও মামলাতেই তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়নি। কোনও মামলাতেই তিনি দোষীও সাব্যস্ত হননি। সোমবারই হলফনামা জমা দিয়েছিলেন কোচবিহারের এই বিজেপি প্রার্থী। মঙ্গলবার সেই হলফনামার প্রেক্ষিতে নিশীথ প্রামাণিককে গ্রেফতার করার দাবি তুলল তৃণমূল। তাঁকে জেলের বাইরে রাখলে ভোট প্রক্রিয়া সুষ্ঠভাবে হবে না বলেও অভিযোগ তৃণমূলের।

Comments are closed.