ABP Ananda-CNX যৌথ সমীক্ষা: TMC ১৪৬-১৫৬, BJP ১১৩-১২১, Left-Cong ২০-২৮

বাম-কংগ্রেস জোটের শক্তি বৃদ্ধি তাৎপর্যপূর্ণ

হাতে আর কয়েকটা দিন, তারপরেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। এই পরিস্থিতিতে, এবিপি আনন্দ-সিএনএক্স-এর যৌথ সমীক্ষা বলছে, একক ক্ষমতায় নবান্ন দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি। 

রাজ্যে ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১১২ টি বিধানসভা কেন্দ্রকে বেছে নিয়ে এই জনমত সমীক্ষা চালানো হয়। ১১২টি বিধানসভায় মহিলা ও পুরুষ মিলিয়ে মোট ৮ হাজার ৯৬০ জনের মতামত নেওয়া হয়। ২৩ জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি এই সমীক্ষা চলে। 

২৯৪ আসনের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গড়তে হলে প্রয়োজন ১৪৮টি আসন। এবিপি আনন্দ-সিএনএক্স-এর সমীক্ষা অনুযায়ী তৃণমূল পেতে পারে ১৪৬ থেকে ১৫৬ টি আসন। গেরুয়া শিবির জিততে পারে ১১৩ থেকে ১২১ টি আসন। বাম-কংগ্রেস জোট এবং অন্যান্য দলগুলির ঝুলিতে যেতে পারে মোট ৩০ টি আসন। এর মধ্যে বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ২০ থেকে ২৮ টি আসন।  

এর আগে জানুয়ারি মাসে সি ভোটার-এবিপি আনন্দের যৌথ সমীক্ষায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা ছিল ১৫৪ থেকে ১৬২। বিজেপির ৯৮ থেকে ১০৬ টি। বাম-কংগ্রেস জোট ২৬ থেকে ৩৪ টি আসন এবং অন্যান্যরা ২ থেকে ৬।   

সি ভোটার সমীক্ষার পর গত একমাসে রাজ্য-রাজনীতিতে অনেক পালাবদল ঘটেছে। তৃণমূল ছেড়ে অনেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অমিত শাহ থেকে শুরু করে জেপি নাড্ডা, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সর্বশক্তি দিয়ে বাংলা দখলের লড়াইয়ে ঝাঁপিয়েছেন। তৃণমল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি, সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি একাধিক জনসভা করছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে এত কিছুর পরেও, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দুই শিবিরেরই ভোট পার্সেন্টেজ কিছুটা কমেছে। সি ভোটার সমীক্ষায় তৃণমূলের ভোটের পার্সেন্টেজ ছিল ৪৩% বর্তমানে তা হয়েছে ৪২%। অন্যদিকে বিজেপির ৩৮% শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৩৭%। কিন্তু বাম-কংগ্রেস জোটের ভোট পার্সেন্টেজ ১২% থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭%। 

সমীক্ষা অনুযায়ী বাম-কংগ্রেস জোটের শক্তি বৃদ্ধি একুশের ভোট যুদ্ধে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

Comments are closed.