বিহারে মহামারি এনসেফ্যালাইটিস, সোমবার পর্যন্ত মৃত্যু ১০০ জনের, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

বিহারে কার্যত মহামারির আকার নিচ্ছে এনসেফ্যালাইটিস। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিহারে মৃত্যু হয়েছে ১০০ জনের। মৃতদের বেশিরভাগই শিশু এবং কিশোর। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মুজফফরপুরে। রবিবার মুজফফরপুরে গিয়ে রোগীর পরিজনদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তাঁকে উদ্দেশ্য করে কালো পতাকাও দেখানো হয়। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা নীতিশ কুমার সরকারের।

ক্রমেই ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে এনসেফ্যালাইটিস। প্রথমে প্রবল জ্বর এবং তার সঙ্গে সঙ্গে আরও বিভিন্ন শারীরিক উপসর্গকে, অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিস সিনড্রোম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। মূলত শিশু এবং কিশোরদের মধ্যেই এই রোগের প্রকোপ লক্ষ্য করা যায়। প্রতি বছরই বিহারে অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিস দেখা দিলেও, এবার তা কার্যত মহামারির আকার ধারণ করেছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০ জনের, বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।

সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি বিহারের মুজফফরপুরে। রবিবার মুজফফরপুরের হাসপাতালে গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। সেখানেই রোগীর পরিজনদের তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।  রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। গরিব মানুষ হাসপাতালে এসেও চিকিৎসা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁদের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। হর্ষবর্ধনের আশ্বাস, মুজফফরপুরের শ্রীকৃষ্ণ মেজিক্যাল কলেজে একটি পৃথক ১০০ শয্যাবিশিষ্ট শিশু বিভাগ তৈরি করা হবে। অন্যদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রত্যেক মৃতের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। বিহার সরকারের স্বাস্থ্য সচিব সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, গত দু’সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে বিহারের ১২ টি জেলার ২২২ ব্লকে অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিস ছড়িয়ে পড়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রকোপ মুজফফরপুর, বৈশালি, শেওহর এবং পূর্ব চম্পারণে। এই জেলাগুলোতে সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর শোচনীয় অবস্থা বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, জীর্ণ পরিকাঠামোর পাশাপাশি ডাক্তার ও নার্সদের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

Comments are closed.