অজানাকে জানার, অচেনাকে চেনার-দেখার আকর্ষণ মানুষের সহজাত। এই অজানা-অচেনাকে দেখা, ঝুঁকি মাথায় নিয়ে পাহাড়, নদী জয় করার নেশাও যেন দিন-দিন বাড়ছে। আমাদের দেশেও এখন অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নেশা থেকে পেশাতে বদলে যাচ্ছে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস। তৈরি হয়েছে ‘দ্য ইন্ডিয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ফাউন্ডেশন (আইএমএফ)। ২০১৭ সাল থেকে আইএমএফ-এর উদ্যোগে শুরু হয়েছে ‘দ্য মাউন্টেনিয়ারিং ফিল্ম ফেস্টিভাল’। নয়া দিল্লিতে শুরু হয় এই চলচ্চিত্র উৎসব।
Related Posts
২০১৮ সালে এই উৎসব পা দিয়েছে দ্বিতীয় বছরে। মূলত মাউন্টেনিয়ারিং, খরস্রোতা নদীতে র্যাফটিং, রক ক্লাইম্বিং, আইস ক্লাইম্বিংসহ যে কোনও অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসই হতে পারে এই চলচ্চিত্র উৎসবের বিষয়বস্তু। তবে আইএমএফ-এর মূল শর্ত, চলচ্চিত্র নির্মাণের পটভূমি হতে হবে ভারতীয় হিমালয়ের যে কোনও অঞ্চল। আইএমএফ-এর পূর্বাঞ্চলীয় কমিটির সম্পাদক দেবরাজ দত্ত thebengalstory.com কে জানালেন, চলতি বছরে মোট ৫০ টি ছবিকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এর থেকে প্রদর্শিত হয় ৪০ টি ছবি। অ্যাওয়ার্ড ক্যাটেগরিতে বেছে নেওয়া হয় মোট ১৮ টি ছবিকে। এক বছর ধরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আইএমএফ-এর শাখা সংগঠনগুলিতে এই ছবিগুলো দেখানো হবে। অ্যাডভেঞ্চার ফিল্ম মেকার অর্পিতা রায়ের কথায়, তাঁদের মত যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার ফিল্ম বানানোকেই পেশা করতে চান, তাঁদের জন্য আইএমএফ-এর এই উদ্যোগের কোনও বিকল্প নেই। বিভিন্ন জেলার পর্বতারোহী সংস্থগুলি থেকে দারুণ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
২৯ মে এভারেষ্ট দিবস হিসেবে শিলিগুড়িতে হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর। আগামী ৩ জুন কৃষ্ণনগরে অনুষ্ঠিত হবে অ্যাডভেঞ্চার ফিল্ম ফেস্টিভাল। প্রথম এভারেস্ট জয়ী অসামরিক বাঙালি বসন্ত সিংহ রায় আইএমএফ-এর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, মাউন্টেনিয়ারিং, রক ক্লাইম্বিং অথবা কায়াকিং, র্যাফটিং যে কোনও অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস মাত্রেই দরকার চূড়ান্ত শারীরিক সক্ষমতা এবং মনের জোর। কিন্তু আমাদের দেশে অন্যান্য খেলার মত অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এই উদ্যোগের ফলে একদিকে যেমন অ্যাডভেঞ্চার ফিল্ম মেকারদের কাজের সুযোগ বাড়ছে, পাশাপাশি পেশা হিসাবেও মান্যতা পাচ্ছে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস।