মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেফতারে মহারাষ্ট্র সরকারের প্রশংসা করে ‘আরবান নকশাল’ ইস্যুতে কংগ্রেসকে আক্রমণ অমিত শাহর

ভারভারা রাওসহ মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেফতার এবং ‘আরবান নকশাল’ ইস্যু তুলে এবার সরাসরি নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল বিজেপি। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির  বৈঠকে শনিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেন, আরবান নকশালদের কংগ্রেস সমর্থন করছে শুধুমাত্র ভোট ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে। শনিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অমিত শাহের বক্তব্য পড়ে শোনান। তিনি জানান, ‘আরবান নকশাল ইস্যুতে মহারাষ্ট্র পুলিশ যে সাফল্য পেয়েছে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অমিত শাহ। তিনি এই সাফল্যের জন্য মহারাষ্ট্র সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ ডিসেম্বর ভিমা-কোঁড়েগাওয়ে দলিত সংঘর্ষের ঘটনায় সম্প্রতি দেশের একাধিক শহর থেকে কবি ভারভারা রাওসহ পাঁচ মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেফতার করে পুণে পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অবশ্য এই ধৃত সমাজকর্মীরা বর্তমানে গৃহবন্দি রয়েছেন। পুলিশের দাবি, ধৃত এই পাঁচ সমাজকর্মী এবং এর আগে আরও যে পাঁচ মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে মাওবাদীদের যোগ রয়েছে। পুলিশের কথায়, এঁদের পোশাকি নাম আরবান নকশাল। এই বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের গ্রেফতারির খবর ও তাঁদের বিরদ্ধে ইউএপিএ ধারা প্রয়োগের কথা সামনে আসতেই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। কংগ্রেসও পুলিশের এই ভূমিকার তীব্র বিরোধিতা করে জানায়, দেশজুড়ে বিরোধী কণ্ঠ দমন করতে চাইছে বিজেপি।
এদিন কর্মসমিতির সভায় এই প্রসঙ্গ টেনেই কংগ্রেসের সমালোচনা করেন বিজেপি সভাপতি। পাশাপাশি তিনি জানান, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে বিরোধীদের যে মহাজোটের কথা বলা হচ্ছে, তা আসলে চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা। বিজেপির দাবি, ২০১৪ এর থেকেও ২০১৯ এ বেশি আসনে জিতে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। বিজেপির দাবি, নরেন্দ্র মোদী দেশকে একজোট করে উন্নয়নের ভারত গড়তে চাইছেন, আর কংগ্রেস চাইছে ভারত  ভাঙতে। জানা গিয়েছে, ২০১৬ এর ২৮ সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের মাটিতে সার্জিকাল স্ট্রাইকের কথা মাথায় রেখে এবছর ওই দিনটিকে শৌর্য দিবস হিসাবে পালন করা হবে।

Comments are closed.