ইয়েস ব্যাঙ্ক মামলায় ইডির সমন, সময় চেয়ে হাজিরা এড়ালেন অনিল আম্বানী

ইয়েস ব্যাঙ্ক মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)- এর সমন এড়ালেন অনিল আম্বানী। আর্থিক সংকটে পড়া ইয়েস ব্যাঙ্কের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে রিলায়েন্স গ্রুপের যোগ থাকার সন্দেহে সংস্থার চেয়ারম্যান অনিল আম্বানীকে সোমবার নোটিস পাঠায় ইডি। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইডির কাছে স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে আরও সময় চাইলেন অনিল আম্বানী।
ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রাণা কাপুর ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে অনিল আম্বানীর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়া সংক্রান্ত তথ্যের জন্যই আম্বানীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অফিসাররা। তবে স্বাস্থ্যজনিত কারণে আম্বানী ইডির কাছে হাজিরার জন্য সময় চেয়ে নেন বলে খবর। আম্বানী ছাড়া রিলায়েন্স গ্রুপের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিককেও আগামী সপ্তাহে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রের খবর।
ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়ে শোধ করেনি অনিল আম্বানীর সংস্থা, সুভাষ চন্দ্রের এসেল গোষ্ঠী, ক্যাফে কফি ডে, আইএল অ্যান্ড এফএস, ডিএইচএফএল প্রভৃতি সংস্থা। অভিযোগ, মূলত এই কারণেই সংকটে পড়েছে ব্যাঙ্কটি। মোট নটি সংস্থার দিকে নজর রেখেছে ইডি। এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে একটি বিবৃতিতে অনিল আম্বানীর সংস্থা জানায়, ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে তাদের নেওয়া পুরো ঋণ সুরক্ষিত। ব্যবসা চালানোর জন্য এই ঋণ নেওয়া হয়। তবে ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রাণা কাপুর, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে বা পরিবারের পরিচালনাধীন সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন রিলায়েন্স গ্রুপের কর্ণধার।
ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে আগামী একমাস গ্রাহকরা ৫০ হাজার টাকার বেশি তুলতে পারবেন না বলে আরবিআই-র নির্দেশিকার পর প্রবল অসুবিধায় পড়েছেন ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা। ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং থেকে ইউপিআই-র মাধ্যমে টাকা লেনদেন এমনকী এটিএম থেকে নিজেদের টাকা তুলতে গিয়ে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। বহু অভিযোগ উঠে আসছে। কোনও কোনও সংস্থার অভিযোগ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি টাকা তুলতে না পারায় কর্মীদের বেতন আটকে রয়েছে।
এদিকে রাজধানী দিল্লির একটি অভিজাত এলাকায় সম্পত্তি কেনা নিয়ে রানা কাপুর ও তাঁর স্ত্রী বিন্দু কাপুরের বিরুদ্ধে নতুন একটি মামলা দায়ের করেছে সিবিআই। ইয়েস ব্যাঙ্ক বিপর্যয়ের পর কাপুর দম্পতির বিরুদ্ধে এই নিয়ে এক সপ্তাহের দুটি মামলা দায়ের করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

Comments are closed.