অখিলেশের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সিবিআই’কে নির্লজ্জভাবে ব্যবহারের অভিযোগ কেজরিওয়ালের

সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদবের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সোমবার কেজরিওয়াল ট্যুইট করেন, নির্লজ্জভাবে সিবিআইকে ব্যবহার করছে বিজেপি। মোদী সরকারের শাসনকে স্বৈরতান্ত্রিক এবং একটি অসাংবিধানিক শক্তি বলে আখ্যা দিয়ে, আগামী নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে এই সরকারকে ছুঁড়ে ফেলার আর্জি জানান তিনি।
এর আগে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ি, অফিস এবং আপ-এর একাধিক নেতার অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। সেই নিয়েও অভিযোগ করেছেন আম আদমি পার্টি প্রধান। তাঁর এই অভিযোগকে সমর্থন করেছেন একাধিক বিরোধী নেতা। যাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত করতে যাচ্ছে, সেই অখিলেশ যাদবের বক্তব্য, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে কংগ্রেসও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগতো, এখন বিজেপিও একই পথে হাঁটছে।
প্রসঙ্গত, বালি খাদান দুর্নীতি কাণ্ডে উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবকে জেরা করার ইঙ্গিত মেলে শনিবার। ২০১২ থেকে ২০১৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দফতরের দায়িত্বে ছিলেন উত্তর প্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ। তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন সিবিআই-এর তদন্তকারীরা। সিবিআই-এর এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যে মন্ত্রীরা ওই দফতরের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সবাইকে জেরা করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে একাধিক শীর্ষ আমলাকেও। শনিবার দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশের মোট ১৪ টি জায়গায় অভিযান চালায় সিবিআই।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, আসন্ন লোকসভায় উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টি এবং বিএসপি-র আসন সমঝোতার চূড়ান্ত বোঝাপোড়ার মাঝে অখিলেশ যাদবকে সিবিআই জেরার তোড়জোড় আসলে, অখিলেশকে কোণঠাসা করার অভিপ্রায়। গত শুক্রবার রাতে, দিল্লিতে সপা নেতা অখিলেশ যাদব এবং বসপা নেত্রী মায়াবতী বৈঠক করে উত্তর প্রদেশে আসন সমঝোতার ব্যাপারে প্রাথমিক কথাবার্তা শুরু করেছেন। আর ঠিক শনিবারই উত্তর প্রদেশের পুরনো বালি খাদান মামলা জাগিয়ে তুলল সিবিআই।
এদিন অখিলেশের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে আক্রমণের পাশাপাশি কংগ্রেসেরও সমালোচনা করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। লোকসভা ভোটে দিল্লিতে বিজেপি এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মানুষকে ভোট দিতে আহ্বান জানান তিনি।

Comments are closed.