মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি, মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি

মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। ২০১৮ সালে কলকাতা পুলিশের করা এক দুর্নীতির মামলা এবং তারপর এ বছর আরও একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট এই পরোয়ানা জারি করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন বিকেলেই এই পরোয়ানাকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে বিষয়টি উল্লেখ করেন মুকুল রায়ের আইনজীবী। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
সূত্রের খবর, গোটা ঘটনার সূত্রপাত গত বছর। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে কলকাতা পুলিশের বড়বাজার থানার পুলিশ কল্যাণ রায় বর্মণ নামে ভারতীয় রেলের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে গ্রেফতার করে। তাঁর কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। হাওয়ালার মাধ্যমে তাঁর কাছে এই টাকা এসেছিল বলে জানতে পারে কলকাতা পুলিশ। এই বিপুল পরিমাণ টাকা কেন তাঁর কাছে এসেছিল এবং কে পাঠিয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, এই মামলার তদন্তে মুকুল রায়ের নাম উঠে আসে। যার জেরে মুকুল রায়কে সাক্ষী হিসেবে নোটিস পাঠায় কলকাতা পুলিশ। কিন্তু মুকুল রায় সেই নোটিসে পুলিশের কাছে হাজিরা দেননি। বরং তাঁর আইনজীবী কলকাতা পুলিশকে জানান, মুকুল রায় দিল্লির বাসিন্দা। তাই আইন অনুযায়ী নিজের এলাকার বাইরে বসবাসকারী ব্যক্তিকে এভাবে ডেকে পাঠানো যায় না। মুকুল রায়ের আইনজীবী কবীর শঙ্কর বসু বলেন, কলকাতা পুলিশকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছিল দিল্লিতে এসে মুকুল রায়ের সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু তা না করা তারা ফের নোটিস পাঠায়।
সূত্রের খবর, বারবার নোটিস পাঠানো সত্ত্বেও হাজিরা না দেওয়ার অভিযোগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা পুলিশ মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। সোমবার সেই মামলারই শুনানি ছিল ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। শুনানিতে কলকাতা পুলিশের পক্ষে সরকারি আইনজীবী অভিযোগ করেন, গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও মুকুল রায় হাজিরা দিচ্ছেন না। এরপর আদালত মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে। আগামী অগাস্ট মাসে শেষে ফের এই মামলার শুনানি। মুকুল রায়ের আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্ত বলেন, ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তাঁরা দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাছাড়া তাঁরা তদন্তে সহযোগিতা করতে চাইছেন। তাঁকে দিল্লি গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

Comments are closed.