মাত্র মাস খানেক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, দেশে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্পই নেই। আর তার এই মন্তব্যের সম্পূর্ণ উল্টো পথে হেঁটে বৃহস্পতিবার লোকসভায় দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায়। এদিন লোকসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে লিখিত বিবৃতিতে তিনি জানান, অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আসা যে সমস্ত অমুসলিম মানুষ রয়েছেন তাঁদের ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারকে। তিনি আরও জানিয়েছেন, যাঁদের ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে তাঁরা সকলেই ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে এসেছিলেন। কিন্তু বৈধ নথিপত্র না থাকায় বা নথির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় তাঁদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছিল। লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে যাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তাঁরা ভারতের নাগরিকত্বের জন্য নিয়ম মেনে আবেদন জানাতে পারেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন ডিটেনশন সেন্টারের নাম পাল্টে এবার হোল্ডিং সেন্টার করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, অসম সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেখানকার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টার থেকে ৭৬১ জনকে গত তিন বছরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিন অসমের কংগ্রেস সাংসদ আব্দুল খালেক লোকসভায় প্রশ্ন করেন, হিন্দু, শিখ,পার্সি, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং জৈন সম্প্রদায়ের যে সমস্ত মানুষকে বিদেশি নাগরিক আখ্যা দিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছ, সিএএ চালু হওয়ার পর তাঁদের কি সেখান থেকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেন্দ্রের তরফে এখনও এ সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়নি। তবে গত বছর জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, বিদেশি নাগরিক ঘোষিত হওয়া যে সমস্ত মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে, সেখানে থাকার মেয়াদ তিন বছরের বেশি হয়ে গেলে শর্তসাপেক্ষে তাঁদের মুক্তি দেওয়া যেতে পারে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মাথায় রেখে কাজ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। মন্ত্রীর এই দাবির পর প্রশ্ন উঠছে, প্রধানমন্ত্রী তাহলে কিসের ভিত্তিতে দেশে কোনও ডিটেনশন সেন্টার নেই বলে দাবি করেছিলেন।
এদিন লোকসভায় কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে, বৈধ নথিপত্র না থাকার কারণে যাঁদের নাম এনআরসি তালিকায় বাদ পড়েছে, তাঁরা নিয়ম মেনে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের কাছে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকায় নাম তোলার জন্য ফের আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কেন্দ্রের আরও দাবি, অসম সরকার জানিয়েছে, শুধুমাত্র আটক করে রাখার জন্য নতুন কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প সেখানে তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও জানিয়েছেন ডিটেনশন সেন্টারের নাম পাল্টে এবার হোল্ডিং সেন্টার করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, অসম সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেখানকার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টার থেকে ৭৬১ জনকে গত তিন বছরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিন অসমের কংগ্রেস সাংসদ আব্দুল খালেক লোকসভায় প্রশ্ন করেন, হিন্দু, শিখ,পার্সি, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং জৈন সম্প্রদায়ের যে সমস্ত মানুষকে বিদেশি নাগরিক আখ্যা দিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছ, সিএএ চালু হওয়ার পর তাঁদের কি সেখান থেকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেন্দ্রের তরফে এখনও এ সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়নি। তবে গত বছর জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, বিদেশি নাগরিক ঘোষিত হওয়া যে সমস্ত মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে, সেখানে থাকার মেয়াদ তিন বছরের বেশি হয়ে গেলে শর্তসাপেক্ষে তাঁদের মুক্তি দেওয়া যেতে পারে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মাথায় রেখে কাজ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। মন্ত্রীর এই দাবির পর প্রশ্ন উঠছে, প্রধানমন্ত্রী তাহলে কিসের ভিত্তিতে দেশে কোনও ডিটেনশন সেন্টার নেই বলে দাবি করেছিলেন।
এদিন লোকসভায় কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে, বৈধ নথিপত্র না থাকার কারণে যাঁদের নাম এনআরসি তালিকায় বাদ পড়েছে, তাঁরা নিয়ম মেনে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের কাছে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকায় নাম তোলার জন্য ফের আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কেন্দ্রের আরও দাবি, অসম সরকার জানিয়েছে, শুধুমাত্র আটক করে রাখার জন্য নতুন কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প সেখানে তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়নি।