একসময় বাবার দোকানে করতেন খৈনি বিক্রি! ছিল আর্থিক অভাব, দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে আজ IAS অফিসার হলেন নিরঞ্জন, এখন বছরে ৩০ লক্ষ টাকা স্যালারি পান নিরঞ্জন

মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র পরিবারে ছেলেমেয়েদের মনের ইচ্ছে শক্তি এবং স্বপ্নপূরণের কাছে দারিদ্রতা যেন হার মানে। লক্ষ্য যদি কারো সঠিক হয় তাহলে কোন বাঁধাই বাধা হয়ে দাড়ায় না তা আবারো প্রমাণ হলো। সেটি আরও একবার উদাহরণস্বরূপ সকলের সামনে তুলে ধরলেন নিরঞ্জন কুমার। সবরকম দারিদ্রতা কাটিয়ে আজ তিনি নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে সফল হয়েছে বর্তমানে তিনি একজন IAS অফিসার।

বিহারের নওয়াদা জেলার বাসিন্দা নিরঞ্জন কুমার। দারিদ্র্যতার সঙ্গে কঠিন লড়াই করে অবশেষে তিনি নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে সফল হয়েছে। তার বাবা অরবিন্দ কুমার তামাক এবং খৈনির একটি ছোট দোকান চালাতেন। সেখান থেকে প্রতি মাসে আয় হতো ৫০০০ টাকা। যা দিয়ে সংসার খরচ এবং ছেলের পড়াশোনার দায়িত্ব সামলেছেন অরবিন্দ বাবু। আর এসবের মাঝেই আসে করোনা পরিস্থিতি। সেই সময় দীর্ঘ মাস দোকান বন্ধ থাকায় তাদের সংসারে বিরাট বড় অর্থাভাব দেখা দেয়। কিন্তু শত দারিদ্রতার মধ্যেও নিরঞ্জনের পড়াশোনা কখনো বন্ধ হতে দেননি তার বাবা।

২০০৪ সালে জওহর নবোদয় বিদ্যালয় রেভার নওয়াদা থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০০৬ সালে বিজ্ঞান কলেজ পাটনা থেকে ইন্টার পাশ করেন নিরঞ্জন। এরপর পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাংক থেকে লোন নেয়। এরপর IIT-ISM ধানবাদ থেকে মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রী অর্জন করে নিরঞ্জন। ২০১১ সালে কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড, ধানবাদে সহকারী ম্যানেজারের চাকরি পান তিনি।

সেখানে মাত্র ছয় বছর চাকরি করার পর নিরঞ্জন নিজের জীবনের আরও দূর এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে।সেই কারণেই সে UPSC পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ২০১৭ সালে প্রথমবার নিরঞ্জন UPSC পরীক্ষা দিয়ে ৭২৮ তম স্থান দখল করে। আবারও ২০২০ সালে UPSC পরীক্ষায় বসে এবং এবারে ৫৩৫ তম স্থান অর্জন করে। জীবনে একটা সময় আর্থিক সংকট থাকলেও বর্তমানে সে একজন সফল IAS অফিসার।

Comments are closed.