“বাবা বিশ্বাস করতেন না পারলৌকিক আচারের অনুষ্ঠানে”, বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করলেন কন্যা পৌলমী

শেষ হলো বাংলা ছবির এক কিংবদন্তির যুগ। ভারতীয় চলচিত্র জগতকে শূন্য করে চলে গেলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বঙ্গবাসী এখনও তাঁর মৃত্যুশোক পারেনি কাটাতে। নিজেকে সামলে নিয়ে বাবার আত্মার শান্তিতে আজকে তাঁর শেষ কাজ করলেন পৌলোমী। দক্ষিণ কলকাতার মঠে করা হলো সৌমিত্রর শেষকৃত্য। তাঁর অসংখ্য অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে সৌমিত্রর মেয়ে পৌলোমী লেখেন, “ওনার জীবনটাকে আমরা সেলিব্রেট করব। তাই আপনারা কেউ কষ্ট পাবেন না, ওনার জীবনটাকে আদর্শ মেনে সেলিব্রেট করে চলব।”

বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে সংবাদমাধ্যমকে পৌলোমী জানান, “বাবার শেষ কাজটি এই জায়গায় করে মনে আলাদা একটা শান্তি অনুভব করছি। যদিও বাবা বিশ্বাস করতেন না এইসব শ্রাদ্ধশান্তিতে। তবুও মায়ের কথায় করা। বাবার কোনদিনও কোনও ভক্তিই ছিল না এইসব পারলৌকিক আচারের আনুষ্ঠানিকতাতে। তবে এই সবুজময় জায়গাটি বাবার পছন্দের জায়গা, তাই ওনার প্রিয় জায়গাতেই ওনার শেষকৃত্য সম্পন্ন করলাম। এতদিনে আজ মনে একটু শান্তি লাগছে।” এরপরে নিয়ম মেনে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করবেন ছেলে সৌগত চট্টোপাধ্যায়। পৌলোমী যেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন তাতে কেবল সৌমিত্রর থিয়েটারের কয়েকজন হাতেগোনা লোক ছাড়া বিশেষ কোনো লোক উপস্থিত ছিল না।

সূত্রের খবর, সৌমিত্রর স্মরণে একটি শোক সভার আয়োজন করা হবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। দীর্ঘ ৪০ দিনের জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ে অবশেষে হেরে গেলেন অপু। চিকিৎসকদের হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও বয়সের গতিকে হার মানাতে পারলেন না। অবশেষে জীবনের এই রঙ্গমঞ্চকে বিদায় জানালেন অপু।

Comments are closed.