বনধের মিশ্র প্রতিক্রিয়া কলকাতা সহ রাজ্যে, পরিবহণ ব্যবস্থা সচল রাখতে সকালেই দফতরে পৌঁছলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী

বুধবার কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগঠনগুলির ডাকা ২৪ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘটে মিশ্র প্রভাব পড়ল কলকাতা সহ রাজ্যে। সিপিএম, কংগ্রেস সহ ২০ টি দল এ রাজ্যে এই ধর্মঘটের সমর্থন করছে। যদিও বনধের দিন পথচলতি মানুষকে যাতে দুর্ভোগ পোহাতে না হয় তার জন্য এদিন সকাল সকাল আর এন মুখার্জি রোডে পরিবহণ দফতরের অফিসে পৌঁছে যান রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। হাওড়া, শিয়ালদহের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন থেকে বাস পেতে যাতে অসুবিধে না হয় তার জন্য বাড়তি সরকারি বাস চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আগেই পরিবহণমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, বনধের দিন ২২ শতাংশ বাড়তি বাস রাস্তায় নামবে। অন্যান্য দিন যেখানে প্রায় ৯০০ টি সরকারি বাস চলে, বুধবার সেখানে ১,১৫০ টি বাস চলবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি, মন্ত্রী এও জানান, রাজ্যে নথিভুক্ত সব যানবাহনই বিমার আওতাধীন। বনধে কোনও ক্ষতি হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে থানায় অভিযোগ করা হবে। মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ মিলবে সেক্ষেত্রে।
অর্থনীতিতে মন্দা, কর্মসংস্থানের বেহাল দশা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বন্ধের প্রতিবাদ, এনআরসি ও এনপিআরের বিরোধিতায় ৮ জানুয়ারি সাধারণ ধর্মঘট পালন করছে কেন্দ্রীয় ট্রেডইউনিয়নগুলি। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করেছেন, বনধের ইস্যুকে তিনি সমর্থন করছেন, কিন্তু বনধকে নয়। তাঁর কথায়, এমনিতেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ।
এদিন একই কথা জানান মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে যে সব ইস্যু নিয়ে বনধ ডাকা হয়েছে, বিষয়গতভাবে আমরা তার সমর্থন করছি। কিন্তু এ রাজ্যে ‘বনধ সংস্কৃতি’ আর বরদাস্ত করা হবে না। অফিস যাত্রী, স্কুল পড়ুয়া থেকে নিত্য যাত্রীদের যাতে বনধের দিন কোনওরকম সমস্যার মুখোমুখি হতে না হয়, তার জন্য প্রচুর বাড়তি বাস রাখা হয়েছে কলকাতায়। জেলাগুলিতেও একই পন্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার।

 

Comments are closed.