বাংলা মোদের গর্ব কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সঙ্গে ৬ জেলায় পর্যটন দফতরের বিশেষ উদ্যোগ

করোনার জেরে বিপর্যস্ত ও বিধ্বস্ত বিশ্ব ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে। ‘নিউ নর্মাল’ মেনে ছন্দে ফিরছে বাংলাও। তাই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যের গ্রামীণ অর্থনীতিকে তুলে ধরতে শীতের মরসুমে রাজ্যজুড়ে ৬১৭ টি মেলা ও প্রদর্শনীর ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেই অনুযায়ী রাজ্যজুড়ে তিনদিনব্যাপী মেলা, প্রদর্শনী, এক্সপো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমন্বয়ে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে শেষ হয়েছে ‘বাংলা মোদের গর্ব’-র প্রথম পর্যায়ের অনুষ্ঠান। ১১, ১২ ও ১৩ ডিসেম্বরের এই অনুষ্ঠানের পর এবার ১৭,১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘বাংলা মোদের গর্ব’ অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি হচ্ছে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি এবং পর্যটন দফতর।


অতিমারির জেরে দীর্ঘদিন ধরে রুজি-রোজগারে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের। বাংলার তাঁতশিল্পের পাশাপাশি অন্যান্য হস্তশিল্পও কঠিন আর্থিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে জেলায় জেলায় মমতার সরকারের উদ্যোগে এই মেলা ও অনুষ্ঠানের আয়োজনে খুশির হাওয়া হস্তশিল্পী,দর্শক, ক্রেতা ও শিল্পীদের মধ্যে। বাংলার হস্তশিল্পীদের তৈরি নানারকম নিত্যপ্রয়োজনীয় ও ঘর সাজানোর জিনিসের বিক্রিবাটায় সাহায্য ও গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন ছাড়াও রাজ্যের পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটাতে সমান উদ্যোগী রাজ্য। করোনার জেরে সবচেয়ে বেশি মার খেয়েছে পর্যটন শিল্প। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের মোট ৬ টি জায়গায় তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সঙ্গে ‘বাংলা মোদের গর্ব’ মেলায় সামিল হয়েছে পর্যটন দফতর। জেলায় জেলায় হস্তশিল্পীদের নিজস্ব স্টলের পাশাপাশি পর্যটন দফতরও স্টল দিয়েছে। সেই সঙ্গে ১১ থেকে ১৩ ডিসেম্বর কলকাতা, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় ‘বাংলা মোদের গর্ব’ মেলায় পর্যটন শিল্পের প্রসারে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছিল রাজ্যের পর্যটন দফতর। এবার আগামী ১৭, ১৮ ও ১৯ তারিখের মেলায় পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, হুগলির চন্দননগর ও নদিয়া জেলার কল্যাণীতে বিশেষ অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি রয়েছে পর্যটন দফতরের। দফতরের এক কর্তার কথায়, বাংলা মোদের গর্ব উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্যই হল আঞ্চলিক সংস্কৃতির প্রসার ও প্রচারের মাধ্যমে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। শুধু তাই নয়, জেলায় লোকশিল্পীদের রুজিরোজগার বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি আঞ্চলিক সংস্কৃতির প্রসারের লক্ষ্যেই এই মেলার আয়োজন।
নবান্ন থেকে এই মেলার ঘোষণায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন,যে সমস্ত ছোট শিল্পী বা ব্যবসায়ী নিজেদের জিনিস সরকারি ছাদের তলায় বেচতে চান, তারা সেই সুযোগ পাবেন। এতে বিপুল কর্মসংস্থানের পাশাপাশি মানুষের রোজগার বাড়বে। ৬১৭ টি মেলায় ১৫৬ কোটি টাকার ব্যবসা হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।

Comments are closed.