শিক্ষামন্ত্রীর কেন্দ্রে গৃহ শিক্ষক নিহারের নাছোড় লড়াই, খেলা ঘোরার আশায় বেহালা পশ্চিমের বাম প্রার্থী

তাঁর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি। অন্যদিকে বিজেপির তারকা প্রার্থী শ্রাবন্তী। পেশায় গৃহ শিক্ষক, কলকাতা কর্পোরেশনের বিদায়ী কাউন্সিলর নিহার ভক্ত একুশের নির্বাচনে বেহালা পশ্চিমের সিপিএম প্রার্থী।

কলেজে পড়াকালীন SFI এর সদস্য হন। ২০১৫ সালে কলকাতা কর্পোরেশন ভোটে ১২৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতে পৌর প্রতিনিধি। ২০১৬ সালে মমতা ব্যানার্জি ২১১ টি আসন নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হন। নিহার ভক্ত জানালেন সেই সময়েও নিজের ওয়ার্ডে ৪ হাজার ৬০০ ভোটে তৃণমূলের থেকে এগিয়েছিল সিপিএম।

২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে বেহালা পশ্চিমে সিপিএমের ভোট ৪২% , ২০১৯ এ যা কমে হয় ১১%। এই পরিস্থিতিতে একুশের নির্বাচনে জয় নিয়ে কতটা আশাবাদী?
দেখুন প্রতিদিন রাজনীতির চরিত্র বদলাচ্ছে, ১৯ আর ২১ তো এক নয়। আমি এতদিন কাউন্সিলর ছিলাম, মানুষ আমায় কাছে পেয়েছে, আমার কাজ দেখেছে। সেখান থেকে বলতে পারি, বেহালা পশ্চিমের মানুষ আমায় সুযোগ দেবেন। বলেন সিপিএম প্রার্থী।

কিন্তু আপনার বিপরীতে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী, উল্টোদিকে বিজেপির তারকা প্রার্থী। তৃণমূল প্রার্থীকে আক্রমণ করে নিহারের উত্তর, দেখুন মানুষ ২০ বছর তৃণমূল প্রার্থীকে কাছে পায়নি। তৃণমূল, বিজেপিকে একযোগে বিঁধে সিপিএম প্রার্থীর কটাক্ষ, একদল টাকা রোজগার করতে তৃণমূল করেছে, আর একদল তোলাবাজির টাকা বাঁচাতে বিজেপিতে গিয়েছে, এই তো অবস্থা! আমার বিশ্বাস মানুষ সব দেখছে। সেদিক থেকে মানুষ এই দুই দলের থেকে বাঁচতে সংযুক্ত মোর্চাকেই সমর্থন করবে।

একজন গৃহশিক্ষকের বিপরীতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী লড়াইটা কোথাও কী কঠিন হয়ে যাচ্ছে না? হেসে প্রতিপক্ষকে সিপিএম প্রার্থীর টিপ্পনি, উনি শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে কী করছেন তা রাজ্যের মানুষ জানেন, নতুন করে আর বলতে চাইছি না।

[আরও পড়ুন- যোগী: BJP ক্ষমতায় এলেই উত্তরপ্রদেশের মতো সুশাসন বাংলাতেও!]

একুশের নির্বাচনে সিপিএম একঝাঁক তরুণ মুখকে প্রার্থী করেছে। নিহার জানালেন, প্রতিটি তরুণ প্রার্থীর মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, তবে ব্যক্তিগত ভাবে তিনি বাকিদের থেকে এগিয়ে রাখছেন নন্দীগ্রামের সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখার্জিকে। ওঁর লড়াইটা সংযুক্ত মোর্চার বাকি প্রার্থীদের মনোবল বাড়িয়েছে, মন্তব্য নিহারের।

হাতে অবসর নেই, সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়িতেই একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রদের পড়ান, তারপর সারাদিন পার্টির কাজ। বাজার করতে ভালোবাসেন। বললেন, যতই ব্যস্ত থাকি ওই কাজটা মিস করি না। ভোটের ফলাফল নিয়ে আশাবাদী সিপিএম প্রার্থী জানালেন, সংযুক্ত মোর্চা এবার সব হিসেব উল্টে দিচ্ছে।

Comments are closed.