দেশের জিডিপিকে ছাপিয়ে গেল বাংলা, কেন্দ্রের রিপোর্ট হাতে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ অমিত মিত্রের

বৃদ্ধির হারে দেশকে ছাপিয়ে গেল বাংলা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, দেশের মধ্যে এ রাজ্যের জিডিপি সর্বোচ্চ হলেও, গত পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন হয়েছে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি। এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তাঁর অভিযোগ, মোদী সরকারের দিকভ্রান্ত নীতির মূল্য চোকাতে হচ্ছে দেশের অর্থনীতিকে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি নিয়ে সম্প্রতি রিপোর্ট পেশ করেছে ভারত সরকার। যেখানে এই আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক বৃদ্ধি হার ১২.৫৮ শতাংশ বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। তুলনায় দেশের গড় আর্থিক বৃদ্ধির হার কম।
কেন্দ্রীয় এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই শনিবার মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র আর্থিক বৃদ্ধি ধরে রাখতে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ। অমিত মিত্র বলেন, ভারতের অর্থনীতির দরজায় মন্দা কড়া নাড়ছে। গত ৫ বছরের মধ্যে এবারই সর্বনিম্ন দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার। ৪৫ বছরের মধ্যে বেকারত্ব ছুঁয়েছে সর্বোচ্চ মাত্রা, নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না। অমিত মিত্র বলেন, একটা ব্যাপার পরিষ্কার, শিল্পপতি থেকে সাধারণ মানুষ নিদারুণ চাপের মধ্যে রয়েছেন। দেশের আর্থিক বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার জন্য মোদী সরকারকে দায়ী করে অমিত মিত্র বলেন, শিল্পপতিদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে, তাঁদেরকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। প্রবল চাপের মধ্যে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে কর্পোরেট সংস্থাগুলোও। দেশের শিল্পপতিরা যদি ভয়ের পরিবেশে থাকতে বাধ্য হন, তাহলে আর্থিক বৃদ্ধি কীভাবে হবে, প্রশ্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর।
দেশের অর্থনীতির এই ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে তাঁদের সমস্যার কথা জানাচ্ছেন। এদিকে অটোমোবাইল সেক্টরও গভীর সমস্যায়, প্রচুর মানুষ কর্মহীনের আশঙ্কায় ভীত বলে কেন্দ্রের আর্থিক নীতির ব্যর্থতার দিকে আঙুল তুলেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।
পাশাপাশি, রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন অমিত মিত্র। এই প্রেক্ষিতে রবিবার একটি ট্যুইট করেন মমতা। লেখেন, বাংলায় ৪৫ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়েছে তাঁর সরকার। পশ্চিমবঙ্গের জিডিপি বৃদ্ধির হার দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।

 

Comments are closed.