কেউ করোনা সংক্রমিত হলে গোটা এলাকা নয়, শুধু বাড়ি হবে কনটেইনমেন্ট জোন! রেড জোনকে ৩ ভাগ করার প্রক্রিয়া শুরু

গত কয়েকদিনে কলকাতা পুরসভা এলাকায় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কলকাতা পুলিস ও স্বাস্থ্য দপ্তরের তালিকা অনুযায়ী, শহরের ১৪৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে অধিকাংশ ওয়ার্ডেই কনটেইনমেন্ট জোন আছে। সংক্রামিত জোনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় লকডাউন পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় নিয়মের বিধিনিষেধ কিছুটা আলগা করার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা।
বুধবার কলকাতা পুরসভায় বৈঠকে ঠিক হয়েছে, কেউ করোনা পজিটিভ হলে এখন থেকে আর সংশ্লিষ্ট এলাকা কনটেইনমেন্ট করা হবে না। বরং কনটেইনমেন্ট হবে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট বাড়ি এবং সেই বাড়ি সংলগ্ন প্যাসেজ। অর্থাৎ, একজন আক্রান্ত হলে গোটা এলাকা আর আটকে রাখা হবে না। কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানান, গোটা এলাকা কনটেইনমেন্ট থাকলে বহু মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। এব্যাপারে আমি কলকাতার পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মার সঙ্গেও কথা হয়েছি।
শহরের কনটেইনমেন্ট জোনের নয়া তালিকা তৈরির প্রসঙ্গে পুলিস কমিশনারের উপস্থিতিতে বুধবার লালবাজারে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। যেখানে পুলিস ও পুরসভার একাধিক কর্তা উপস্থিত ছিলেন। কী পদ্ধতিতে কলকাতার রেড জোনকে তিনটি ভাগ করা হবে এবং গ্রিন-অরেঞ্জ জোনে কোন কোন এলাকাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, সেব্যাপারে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, আগে যে পদ্ধতিতে শহরকে কনটেইনমেন্ট জোনে ভাগ করা হয়েছছিল, তাতে কিছু বদল আনা হচ্ছে।
আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্যের সব পুরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করবেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বর্তমানে পুরসভার কী ভূমিকা, তা নিয়ে কথা বলবেন তিনি।
সরকারের বক্তব্য, লকডাউনের জেরে টানা দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে গোটা শহর স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় কোনও এলাকাকে পুরোপুরি কনটেইনমেন্ট করে রাখায় সঙ্কট আরও তীব্র হয়েছে। এক্ষেত্রে পুর প্রশাসনের পক্ষেও পরিষেবা দেওয়া সমস্যার হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

Comments are closed.