বিহার মন্ত্রিসভা: বিতর্কের মুখে তিনদিনে পদত্যাগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শিক্ষা মন্ত্রীর, অর্থ মন্ত্রী দ্বাদশ ফেল!
শপথ গ্রহণের মাত্র তিনদিনের মধ্যে পদত্যাগ করলেন বিহারের শিক্ষা মন্ত্রী মেওয়ালাল চৌধুরী।
শপথ নেওয়ার পর থেকে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে তুলোধোনা করেছিলেন বিরোধীরা। অবশেষে বিতর্কের মুখে নীতীশ কুমারই তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন বলে খবর।
মেওয়ালাল চৌধুরী বিহার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকার সময়ে দুর্নীতিতে জড়িয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ২০১৫ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় আবার উপাচার্যের পদে ইস্তফা দিয়ে নীতীশ কুমারের জেডি(ইউ)’র হয়ে ভোটে দাঁড়ান এবং জয় পান। কিন্তু ২০১৭ সালে তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি ও দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর নীতীশ কুমার তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করেন। সেই দুর্নীতির অভিযোগে মামলা এখনও চলছে আদালতে। তারপরেও মেওয়ালাল তিনি কীভাবে শিক্ষামন্ত্রীর পদ পান, সেই প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। এই বিতর্কের মধ্যে বৃহস্পতিবার ইস্তফা দিলেন মেওয়ালাল।
এদিকে নীতীশের মন্ত্রিসভার আর এক সদস্য বিজেপি নেতা তারকিশোর প্রসাদকে নিয়েও কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা। বিহার সরকারের দু’জন উপ-মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে অন্যতম প্রবীণ বিজেপি নেতা তারকিশোর প্রসাদ প্রথমবার মন্ত্রী হয়েই অর্থ দফতর, বাণিজ্যিক কর বিভাগ, পরিবেশ ও বন বিভাগ, তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং নগরোন্নয়ন বিভাগ পরিচালনা করবেন। কিন্তু তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা দ্বাদশ শ্রেণি ফেল! যা নিয়ে আরজেডি-র প্রশ্ন যে বিজেপি ও নীতীশ কুমাররা তেজস্বী যাদবের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন, এতগুলো দফতর একজন টুয়েলভ ফেল নেতার হাতে তুলে দেওয়াকে কী বলবেন তাঁরা?