আসন সমঝোতা ভেঙে যাওয়ার কারণ ‘টাকা’, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ বিমানের

গত সপ্তাহেই সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম অভিযোগ করেছিলেন, কংগ্রেসের মধ্যে একটা দালাল চক্র কাজ করছে, যারা আসন সমঝোতা ভেস্তে বিজেপির সুবিধে করে দিতে চায়।
এবার রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা ভেঙে যাওয়ার কারণ হিসেবে ‘টাকা’ বড় ভূমিকা পালন করেছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য এবং বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। আসন সমঝোতা না হওয়ার জন্য সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুললেন কংগ্রেসের দিকে। বিমান বসু বলেন, আসন সমঝোতা ভেঙে যাওয়ার পিছনে ‘অর্থ’ কাজ করেছে। টাকার খেলা হয়েছে।
রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ হওয়া আটকাতে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার জন্য নজিরবিহীন উদ্যোগ নিয়েছিল সিপিএম। সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে আসন সমঝোতার প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর এমাসের গোড়ায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটিও তাতে ছাড়পত্র দেয়। রাজ্যে যে আসনগুলি গত লোকসভা ভোটে সিপিএম এবং কংগ্রেস জিতেছিল, সেখানে একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সিপিএম। স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিল কংগ্রেসকে। এমনকী বিরোধী ভোট ভাগ হওয়া ঠেকাতে এখনও পর্যন্ত বহরমপুর এবং মালদহ কেন্দ্রে প্রার্থী দেয়নি আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
কিন্তু দীর্ঘ দিন আলোচনা চালিয়েও আসন সমঝোতার প্রক্রিয়া ভেঙে দেয় কংগ্রেস। রাজ্যে ৪২ টি কেন্দ্রেই লড়ার প্রস্তুতি নেয় তারা। এমনকী গতবার সিপিএমের জেতা আসন রায়গঞ্জেও প্রার্থী দেয় তারা। এতে ক্ষুব্ধ হলেও বৃহত্তর স্বার্থে জোট বার্তাই অক্ষুন্ন রেখেছে সিপিএম। আসন সমঝোতা ভাঙার দায় কংগ্রেসকেই নিতে হবে বলে অভিযোগ আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের। এবার বিমান বসু অভিযোগ করলেন, আসন সমঝোতা ভেঙে যাওয়ার পিছনে টাকার বড় খেলা হয়েছে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের সরাসরি অভিযোগ, কংগ্রেসের একটা অংশ টাকার বিনিময়ে আসন সমঝোতায় বাধা সৃষ্টি করেছেন। তবে কোথা থেকে এই টাকা জোগানো হয়েছে তা তিনি স্পষ্ট করেননি।

Comments are closed.